কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : বেড়িবাঁধ মেরামতের নামে বাঁধের উচ্চতা কমিয়ে ফেলায় আগামী বর্ষা মেীসুমে জলোচ্ছাসে সর্বস্ব হারানোর আশংকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে হাজার পরিবার। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া বেড়িবাঁধ মেরামতের নামে অনিয়ম চললেও নীরব পাউবো কর্মকর্তারা।

জানা যায়, কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪৬ নং পোল্ডারের এক দশমিক ৫৬৫ তম কিঃমিঃ থেকে ৪ দশমিক ২০ তম কিঃমিঃ পর্যন্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। কিন্তু বাঁ মেরামতের নামে বাঁধের দুই পাশের স্লোপ কেটে শুধু লেভেল করা হচ্ছে। বাঁধের দু’পাশের উচ্চতার মাটি কেটে মাঝ খানে মাটি ভরাটের কারনে কমে যাচ্ছে বাঁধের উচ্চতা। এতে বর্ষা মেীসুমে জলোচ্ছাসে বাঁধ টপকে বাঁধের পানি প্রবেশের আশংকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে গ্রামবাসীরা। নিয়ম অনুযায়ী বাঁধের পূর্বের ডিজাইন ঠিক রেখে বাঁধ মেরামতের নিয়ম থাকলেও এখানে চলছে তার উল্টো।

টুঙ্গিবাড়িয়া বাঁধের মাটি কাটা শ্রমিক মো. হারুন জানান, ঠিকাদার তাদের বাঁধের উচ্চতা ১৪ ফুট তিন ইঞ্চি, কান্ট্রি সাইটের স্লোপ ১৫ ফুট এবং রিভার সাইটের স্লপ ২৫ ফুট রেখে তাদের বাঁধ মেরামত করতে বলেছে। এজন্য তারা একশ ফুট বাঁধ মেরামতে ১১ হাজার সাতশ টাকা মজুরী পাচ্ছেন। প্রায় একশ শ্রমিক এ বাঁধ মেরামতের কাজ করছেন। অথচ মূল কাজে ডিজাইন রয়েছে টপ ১৪ ফুট। স্লোপ কান্ট্রি সাইটে এক ফুট উচু হলে দুই ফুট ঢালু (১:২)এবং রিভার সাইটে এক ফুট উচু হলে ঢালু তিন ফুট (১:৩) থাকার কথা।

স্থানীয় গ্রামবাসী সোহাগ মিয়া, জয়নাল আবেদীন ও আনোয়ার হোসেন জানান, বাঁধের আগের যে উচ্চতা ছিলো তা কেটে কমিয়ে ফেলা হয়েছে। কত টাকায় কিংবা কোন ঠিকাদার কাজ করছেন এবং বাঁধ মেরামত সংক্রান্ত কোন সাইন বোর্ড না টানানোর কারনে তারা জানতে পারছেন না মূল কাজের ডিজাইন কি । এ কারনে শ্রমিকরা ইচ্ছেমতো কাজ করছে।

এ বাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী সফি উদ্দিন জানান, তিনি বদলী হয়ে গেছেন অন্যত্র। এসডিই’র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসডিই (উপবিভাগীয় প্রকৌশলী) শহীদুল ইসলাম জানান, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা। জানে স্টিমেটর শহীদুল ইসলাম সাহেব।

(এমকেআর/এএস/মার্চ ১৩, ২০১৫)