আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিশরের ঐতিহ্যবাহী কায়রোর বদলে নতুন একটি রাজধানী তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

কায়রোর পূর্বদিকে ওই রাজধানীতে পার্লামেন্ট, মন্ত্রীদের কার্যালয় আর দূতাবাসগুলো থাকবে। সিঙ্গাপুরের আয়তনের সমান এই শহরটিতে প্রায় পঞ্চাশ লাখ মানুষের বসবাস করতে পারবে। নতুন রাজধানীতে ২ হাজার স্কুল ও কলেজ এবং ৬শ’য়ের বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকবে। এ শহরে লক্ষাধিক নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।

মিশরের অর্থনীতি বিষয়ক একটি সংবাদ সম্মেলনে নতুন রাজধানী তৈরির এই ঘোষণাটি দিয়েছেন মিশরে গৃহায়নমন্ত্রী মোস্তফা মাদবুলি। কায়রো আর লোহিতসাগরের মাঝামাঝি কোন স্থানে নতুন শহরটি গড়া হবে। তবে এখনো শহরটি কোন নাম ঠিক করা হয়নি।

মোস্তফা মাদবুলি আরো জানিয়েছেন, নতুন এই রাজধানী তৈরিতে ব্যয় হবে ৪৫ বিলিয়ন ডলার এবং এটির কাজ শেষ করতে সময় লাগবে ৫ থেকে ৭ বছর।

নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এর মধ্যেই বারো হাজার কোটি ডলার সহায়তার দিতে রাজি হয়েছে কুয়েত, সৌদি আরব আর সংযুক্ত আরব আমিরাত।

মিশর থেকে বিবিসি’র সংবাদদাতারা বলছেন, কায়রোর ভিড়, আর পরিবেশর উপর চাপ কমাতেই নতুন এই রাজধানী তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শহরটির পরিকল্পনার সাথে জড়িত আলাব্বর নামের একজন কর্মকর্তা বলছেন, নতুন শহরটি হবে অনেক বেশি জন বান্ধব।

কায়রোর ঐহিত্য ও নকশার উপর ভিত্তি করেই নতুন শহরটি তৈরি করা হবে এবং সেখানে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধাই থাকবে। এই শহরটি তৈরি হলে তা মিশরের অর্থনীতির জন্য সুবাতাস আনবে বলে কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। শহরে হিথরোর চেয়ে বড় একটি বিমানবন্দরও থাকবে।

সংবাদদাতারা বলছেন, অতীতেও মিশরে এরকম বড় প্রকল্প নেয়া হলেও, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সেগুলো শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখতে পায়নি। তবে বর্তমান সরকার এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিয়েছে। কেননা অর্থনীতির গতি ফেরাতে না পারলে মিশরের সংকট আরো বাড়বে। আরব গণজাগরণ শুরু হওয়ার পর থেকেই মিশরে বিদেশী বিনিয়োগ কমে গেছে। সেই বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতেই সরকার নতুন এই শহর স্থাপনসহ আরো বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
(ওএস/পিবি/মার্চ ১৪,২০১৫)