বিনোদন ডেস্ক : ব্যস্ততায় অবসর খুব কমই পান জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। হাতে চার চারটি ছবির শুটিং। মুক্তির অপেক্ষায় আছে কিছু।

এই অভিনেতা বরাবরই একটু আবেগপ্রবণ। মানুষের জন্য ভাবতে ভালোবাসেন তিনি। কাজের ফাঁক গলে অবসর সময়টুকুতে তিনি ভাবেন বঞ্চিত আর অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা। তারই প্রতিফলন সবার জন্য চক্ষু সেবা নিশ্চিত করতে ফাইন্ডেশন গড়ে তোলার বাসনা।

এক আলাপকালে জানালেন, মরণোত্তর চক্ষুদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুভ। আর অর্থের অভাবে চক্ষু সেবায় বঞ্চিত এবং অপারগদের জন্য একটি ‌‌‘আই হসপিটাল’ গড়ে তোলার লক্ষে নিজেই একটি আই ফাউন্ডেশন করার কথা ভাবছেন।

এ বিষয়ে আরিফিন শুভ বলেন, ‘মানুষ অবিনশ্বর নয়। তাকে আজ হোক কিংবা কাল, থামতেই হবে। আমার মৃত্যুর পর আমার চোখ দিয়ে যদি কেউ এই সুন্দর পৃথিবীটা দেখতে পারে তবে কেন নয়! তাই আমি মরণোত্তর চক্ষুদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর আমার স্ত্রী অর্পিতাকে নিয়ে একটা আই ফাউন্ডেশন করার পরিকল্পনা করছি।’

শুভ জানান, ‘চক্ষুদানের ব্যাপারে বর্তমানে অনেকের সাথেই কথা হচ্ছে। বেশ কিছু ফাউন্ডেশনের সাথেও আলাপ করেছি। তবে এ বিষয়ে সরকারের সাহায্য প্রয়োজন। সেইসাথে দেশের প্রতিটি মানুষের কাছ থেকে সাহায্য চাই আমি। অন্ধত্বের মতো হতভাগ্যের আর কিছু হয় না। আপনার-আমার একটু এগিয়ে আসাতে একটা মানুষ পৃথিবী দেখবে এটা অনেক বড় প্রাপ্তির বিষয়। তাই সবাইকে বলবো- এগিয়ে আসুন।’

অন্যদিকে শুভ বর্তমানে ‘দরদীয়া’, ‘মুসাফির’সহ চারটি চলচ্চিত্রের কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘ছায়া-ছবি’, ‘ওয়ার্নিং’ ও ‘ছুঁয়ে দিলে মন’।

এরইমধ্যে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’, ‘ভালবাসা জিন্দাবাদ’, ‘অগ্নি’, ‘তারকাঁটা’, ‘কিস্তিমাত’ ছবিগুলো দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি খিজির হায়াত খান পরিচালিত ‘জাগো’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালী পর্দায় আরিফিন শুভর অভিষেক।

(ওএস/এএস/মার্চ ১৫, ২০১৫)