মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুর শহর তরুন লীগের অফিস ভাংচুরকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও তরুণলীগের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলাগুলির ঘটনায় শহর ছাত্রলীগ সভাপতি মাহফিজুর রহমান পোলনসহ ৩ জন আহত হয়েছে। প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান পোলেন রমেশ ক্লিনিকে এবং তার চাচাত ভাই মাসুদ রানা ও এক আটোচালক জুয়েল গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এলাকাবাসীরা জানান, দুপুরে শহর তরুণলীগের কলেজ মোড়ের অফিস ভাংচুর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার পর থেকে কলেজ মোড়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পযার্য়ে সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার শুরু করে। এ সময় শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফিজুর রহমান পোলেনকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। সৃষ্ট সংঘষে কয়েক রাউন্ড গুলাগুলি হলে পোলেনের চাচাত ভাই মাসুদ রানা ও অটো চালক জুয়েল গুলিবিদ্ধ হন।

মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আহসান হাবিব জানান, শহর তরুন লীগের ৯ ওয়ার্ড সভাপতি খাদেমুলকে আটক করার ঘটনায় কলেজ মোড়ে তরুণলীগের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে এবং বেশকিছু গাড়ি ভাংচুর করায় ছাত্রলীগের সাথে মতবিরোধে সৃষ্টি হয়। সে ঘটনার জের ধরে আজ দুপুরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তরুণ লীগের কলেজ মোড়ের অফিস ভাংচুর করে। এর পর থেকে উভয়পক্ষ সেখানে অবস্থান নিলে এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সৃষ্ট সংঘষে ৩ জন আহত হয়।

(ইএম/এএস/মার্চ ১৫, ২০১৫)