রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মুক্তিযোদ্ধা ইউপি চেয়াম্যান জেলা আ’লীগের সহসভাপতি শহীদ উল্যাকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় তার ছেলে মনঞ্জু হোসেন সুমন বাদী হয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত মনু মিয়াসহ ৮জনের  নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা করা করেন। শনিবার রাতে  রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় উলফা সদস্য দুলাল হোসেন নামের এক জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি শহিদ উল্যা (বিএসসি) জানান, হায়দরগঞ্জে আওয়ামীলীগের মুলধারার নেতাদের উৎখাত করতে পতিপক্ষের লোকেরা অর্থলোভে আকৃষ্টৃ করে গড়ে তোলেন উলফা বাহিনী। উলফা সদস্যরা অনেকেই অন্য জেলার। এরা পেশায় আচার বিক্রেতা, রিকসা চালক, মুছি এবং মেকানিকসহ ডাকাতি, ছুরিসহ জেল খাটা আসামি। এ বাহিনীটি এপর্যন্ত পতিপক্ষের দেওয়া লিষ্টে আমাকেসহ অর্ধশত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ওপর হামলা চালিয়েছে।

বাহিনীটি হায়দরগঞ্জ বাজারের ব্যাসায়ীদের জিম্মি করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে।। চাঁদা দিতে ব্যবসায়ীদের নিষেধ করায় উলফার প্রধান টার্গেট তিনি বলে জানান এচেয়ারম্যান। তিনি সরকারিভাবে গোপন তদন্তে উলফা বাহিনীর কর্মকাণ্ড তদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মহিন উদ্দিন জানান, হায়দগঞ্জ বাজারে চলে দমন পীড়নের রাজনীতি।এখানের সন্ত্রাসী বাহিনীটি সকলের মুখেমুখে উলফা বাহিনী নামে পরিচিত। এটা লোকজনের দেওয়া নাম। মূলত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে দ্রুত পার পেতেই গড়ে উঠে উলফা বাহিনী।

উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে সহিদ উল্যা ইউপি কার্যালয়ের সামনের একটি দোকান থেকে ওষুধ কিনে বের হলে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিতে হামলা চালায়।

লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) নাসিম মিয়াসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে তিনি সন্ত্রাসী হামলায় আহত ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাকে মামলা করার পরামর্শ দেন।

(পিকেআর/এএস/মার্চ ১৫, ২০১৫)