স্পোর্টস ডেস্ক : অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ইংল্যান্ড কোচ হিসেবে দ্বিতীয়বার নিয়োগ পাওয়া পিটার মুরস অনেক বেশি ভাল করবেন বলে প্রত্যাশা করছেন দলের সিনিয়র ব্যাটসম্যান ইয়ান বেল।

তবে খেলোয়াড়দের দায়িত্ব নেয়ার কোন বিকল্প নেই বলেও মনে করছেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ায় ৫-০ ব্যবধানে এ্যাশেজ হোয়াইটওয়াশ হওয়ায় কোচ এন্ডি ফ্লাওয়ার পদত্যাগ করার পর ইংল্যান্ড দলে মুরসের পাওয়া সিনিয়র খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন বেল।

২০০৭-২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে দুই বছর ইংল্যান্ড দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন মুরস।

তৎকালীন অধিনায়ক কেভিন পিটারসেনের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে সে সময় দল ত্যাগে বাধ্য হন মিুরস। একই কারণে পিটারসেনকেও অধিনায়কত্ব হারাতে হয়। অবশ্য এ্যাশেজ পরাজয়ের পর পিটারসেনকেও দল থেকে বহিষ্কার করেছে ইংল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।

গত শুক্রবার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টি বিঘ্নিত একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচে ইংল্যান্ডের পাওয়া ৩৯ রানের জয়ে মূল ভূমিকা পালন করেছেন বেল। মুরসের কোচিংয়ে প্রথম ম্যাচে ৫০ রান করেন বেল।

বেল বলেন, ‘অনেক গুনসম্পন্ন তিনি খুবই ভাল একজন কোচ, আমি নিশ্চিত অতীতের ভুল থেকে তিনি শিক্ষা নিয়েছেন- তিনি নিজেই সেটা বলেছেন আমি জানি।’

‘সম্ভবত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পর্কে তিনি আরো বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন বলে আমি মনে করি। আমি নিশ্চিত ল্যাংকাশায়ারের কোচ হিসেবে পাঁচ বছর তিনি অনেক বেশি শিখেছেন।’

‘হতে পারে তিনি হয়তো সব সময় পরিসংখ্যানের দিকে তাকাবেন না এবং আমাদের ওপর বেশি দায়িত্ব দেবেন। এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়াটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

শ্রীলংকার বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজে কি করতে হবে- নিশ্চই সে অভিজ্ঞতা ৯৮ টেস্ট ও ১৪১ ওয়ানডে খেলা ৩২ বছর বয়সী বেলের রয়েছে। ‘খেলোয়াড়দের দাঁড়াতে হবে’

বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডের কাছে পরাজিত হওয়া একটা সফর কতটা বিব্রতকর সে বিষয়ে ইঙ্গিত করে বেল বলেন, ‘পিছনের দিকে তাকান, গত শীতে যেটা ঘটেছে সে জন্য কোচদের দায়ী করা যাবে না।’

‘খেলোয়াড়দের রান করতে হবে এবং উইকেট নিতে হবে, কে কোচিং করাচ্ছেন সেটা কোন বিষয় নয়।’

তবে ২০০৬-০৭ মৌসুমে এ্যাশেজ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পরও ইংল্যান্ডকে ঘুরে দাঁড়াতে দেখা গেছে। সুতরাং বর্তমান দলটির ও পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে না পারার কোন কারণ দেখছেন না বেল।

‘২০০৬-০৭ মৌসুমে দলের সঙ্গে থাকার কারণে আমি মনে করছি ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব এবং আমার বিশ্বাস আমরা আবার পারব।
‘হ্যাঁ, এ জন্য কিছুটা সময় দরকার। তবে ইংলিশ কন্ডিশনে বিশ্বের যে কোন দলকেই হারানোর ক্ষমতা আমাদের রয়েছে বলে আমি মনে করছি।’

পিটারসেনের বিদায়ের পর টেস্ট ম্যাচে চার নম্বরে ব্যাটিং করার জন্য কাউকে খুজে নিতে হবে ইংল্যান্ডকে এবং সম্ভবত এ বেলই এ শূন্য স্থান পূরণ করবেন। তিন নম্বরে ট্রটের শূন্য স্থান নিয়েও ভাবতে হবে দলটিকে। অবশ্য অধিনায়ক এলিস্টার কুক চাইলে তিন নম্বরেও ব্যাট করতে পারেন বেল।

ব্যাখ্যা করে বেল বলেন, ‘কেপি না থাকায় তার পরিবর্তে আমি যে কোন দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত বলে ইতোমধ্যেই আমি জানিয়ে দিয়েছি। তবে তিন এবং চার নম্বরে ব্যাটিং করার মধ্যে কিঞ্চিত পার্থক্য রয়েছে।’

‘কুক যদি আমাকে তিন নম্বরে ব্যাট করাতে চান তবে স্বানন্দে আমি তা গ্রহণ করব। দলে ভারসাম্যটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
‘আমি সব সময়ই বলেছি আমার পক্ষে যতটা সম্ভব ওপরে ব্যাটিং করতে চাই আমি এবং নিজেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে চাই। দায়িত্ব নেয়ার এটাই ভাল সময়।’

(ওএস/এস/মে ১১, ২০১৪)