রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : রায়পুরে মুক্তিযোদ্ধা ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহীদ বিএসসির ওপর সন্ত্রাসী হামলাকারি গনাপটুনীর শিকার আহত কথিত উলফানেতা মনু মিয়া মারা গেছেন।

দু’দিন নিজ বাসায় রেখে চিকিৎসা করার পর সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মনু মিয়ার ভাই চুন্নু মিয়া। নিহত মনু মিয়া উপজেলার চরপাংঙ্গাসিয়া গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে।
জানাযায়, একজন প্রভাবশালীর নির্দেশে মনু মিয়া ফেরি করে আচার বিক্রয় ছেড়ে হায়দরগঞ্জ সিএনজি স্টেশনে জিপির চাঁদা তুলত।

ধীরে ধীরে সে একটি অপরাধ চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ে। চক্রটি স্থানীয়ভাবে উলফা বাহিনী নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। বাজারের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ তাকে উলফা বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবে জানে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বিএসসি এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, মাদক ও ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে কথিত উলফা বাহিনীর টার্গেটে পরিনত হন। শুক্রবার আগে থেকেই ক্ষুব্দ স্বশস্ত্র মনুমিয়া হায়দরগঞ্জ বাজারের বটতলা নামক স্থানে একটি ফার্মেসীতে বসা ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি শহীদ বিএসসিকে হত্যার চেষ্টা চালায়। উত্তেজিত জনতা ঘটনাস্থলেই মনু মিয়াকে ধরে গনপিটুনী দিলে গুরুতর আহত হয় সে।

খবর পেয়েই উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন খোকন, এএসপি (সার্কেল) মোঃ নাছিম মিয়া, ওসি একেএম মনজুরুল হক আখন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে মামলা করার পরামর্শ দেন ।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল হক আকন্দ বলেন, মনু মিয়া মারা যাওয়ায় বিষয়টি তার স্বজনরা আমাকে জানিয়েছেন। হামলার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও স্থানীয় চর আবাবিল ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উল্যার (বিএসসি) ছেলে মনঞ্জু হোসেন সুমন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মনু মিয়ার হয়ে আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুলাল হওলাদারের অনুসারী নাদিম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

(পিকেআর/পিবি/মার্চ ১৭,২০১৫)