রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর জেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় ২৬ হাজার জেলে  হাজার জেলে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে।

প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহকারী জেলেদেরকে পরিবার পরিজন নিয়ে অর্থ কষ্ট লাঘবের জন্য প্রতি জেলে পরিবারকে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় টানা চার মাস প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। মার্চ এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষনা করে এ এলাকায় মাছ ধরা,বহন, বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়াও নভেম্বর হতে জুন পর্যন্ত টানা আট মাস মেঘনা নদীতে জাটকা নিধন প্রতিরোধ কর্মসূচি চালু থাকে।

জেলা মৎস অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মেঘনা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহকারী তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা ৩৬ হাজার ৭০২ জন। এর মধ্যে ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে ২৫ হাজার ৯৪৭ জন জেলে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৪ হাজার ৭৩৩ জন জেলের মধ্যে ৩ হাজার ৩৪৫ জন। রায়পুর উপজেলায় ৫ হাজার ৯৩৮ জন জেলের মধ্যে ৪ হাজার ১৯৬ জন। রামগতি উপজেলায় ১৫ হাজার ৯২৯ জন জেলের মধ্যে ১১ হাজার ২৬৫ জন এবং কমলনগর উপজেলায় ১০ হাজার ১০২ জন জেলের মধ্যে ৭ হাজার ১৪১ জন এসুবিধা পাচ্ছে।

জেলার মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মোস্তফা বেপারী জানান, খাদ্য সহায়তা হতে বঞ্চিত জেলেরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে আগামী জুন পর্যন্ত চরম দুর্দিনের মধ্যে থাকতে হবে। মাছ ধরা থেকে বিরত থেকেও অনেকই এখন খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন না। এছাড়াও তিনি আরও বলেন সুবিধাবঞ্চিত অনেক জেলেরা জীবন বাঁচাতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামতে পারেন। এতে সরকারের উদ্দেশ্য সফল হবে না। এ জন্য সব জেলের নামে চাল বরাদ্দ করা প্রয়োজন।

জেলার ত্রাণ কর্মকর্তা অরবিন্দ কিশোর চক্রবর্তী জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে এ বছর ২৫ হাজার ৯৪৭ জন জেলের চার মাসের জন্য ৪ হাজার ১৫১ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলেক উজ্জামান জানান, তালিকাভুক্ত সব জেলের জন্য খাদ্য সহায়তার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল। বরাদ্দ কম আসায় প্রায় ১১ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা দেয়া যাবে না।

(পিকেআর/পিবি/মার্চ ১৮,২০১৫)