স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : এক দল রয়েছে অদম্য রূপে; আরেকটি রীতিমতো ধুঁকছে। এবার কোয়ার্টার-ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে দুই মেরুতে থাকা এই দুই দল নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচ জেতা ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দল আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেই এগিয়ে যেতে চায়। আর জ্যাসন হোল্ডারের দলের আছে জয়ের জন্য দৃঢ় সংকল্প।

শনিবার ওয়েলিংটনের ওয়েস্ট প্যাক স্টেডিয়ামে সহ-আয়োজক নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়। গত দশটি বিশ্বকাপের ছয়টিরই সেমি-ফাইনাল খেলেছে নিউ জিল্যান্ড; তবে একবারও ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারেনি। সব মিলিয়ে নিউ জিল্যান্ডের নামই হয়ে গেছে 'সেমি-ফাইনালের দল'। এবার এই ‘বদনাম’ ঘোচানোর লক্ষ্য ম্যাককালামদের। আর এই লক্ষ্য পূরণের পথে যে দলই সামনে পড়ুক, গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় তাদের। প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে ম্যাককালামের দলের মূল মন্ত্র আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও এটা দিয়েই উড়িয়ে দিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠতে চায় নিউ জিল্যান্ড।

ম্যাচটি নকআউটের বলে কিছুটা চাপ থাকার কথা স্বীকার করেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক ম্যাককালাম। তবে নিজেদের দর্শন থেকে ফিরে আসার কোনো কারণ দেখেন না তিনি। ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে সেই কথাই বলেন ম্যাককালাম। “আমরা এই (আক্রমণাত্মক) ধরণের ক্রিকেট খেলতে চাই। আমরা দেখিয়েছি যে, এটাই আমাদের অপরাজেয় একটি দলে পরিণত করছে।”

ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য এবারের কোয়ার্টার-ফাইনালটি একটু অন্যরকম। আগের চেয়ে কোনো বিশ্বকাপের চেয়ে এবার শেষ আটে খেলা এই দলটির জন্য একটু বেশিই মধুর। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে অনেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাতিলের খাতায় ফেলেছিল। ধুঁকতে থাকা দলটি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে শেষ আটে ওঠে। বেতন-ভাতা নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্বের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট অনেকটাই বিপর্যস্ত। এরই জের ধরে দল থেকে বাদ পড়েন ডোয়াইন ব্রাভো আর কাইরন পোলার্ডের মতো দারুণ ফর্মে থাকা দুই অলরাউন্ডার। আর বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পান ২৩ বছর বয়সী হোল্ডার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার বিশ্বকাপটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চায়। ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রত্যয়ের কথাই বলেন হোল্ডার। “তারা আমাদের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠা আশা করেনি এবং এখন আমরা এখানে। আগামীকাল (শনিবার) আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে নামব এবং নিজেদের পুরোটা উজাড় করে দেব।”

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সাম্প্রতিক লড়াইয়ের ইতিহাসও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য আশা জাগানিয়া। ২০১২ সাল থেকে এই পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তারা ৬টি ওয়ানডে জিতেছে, আর হেরেছে মাত্র ৩টি।

(ওএস/পি/মার্চ ২০, ২০১৫)