খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : যেকোন মূল্যে সীমান্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কাজ করে যাবে। কোনো স্বার্থান্বেষী মহল তা রুখতে পারবে না বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিজিবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ পূর্ব রিজিয়নের অপ্স অফিসার কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম।

শুক্রবার বেলা ১১টার সময় বিজিবির খাগড়াছড়ি সেক্টর দফতরের সম্মেলন কক্ষে দীঘিনালার বাবুছড়ায় ৫১ বিজিবির ব্যাটলিয়ন সদর দপ্তর স্থাপনে বাধা দেয়ার ব্যাপারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৫১ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল কামাল আহমেদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ৪৭৯ কি. মি. সীমান্ত অরক্ষিত রয়েছে। ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিজিবি পুর্নগঠন আইন ২০০৯ এর আওতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বিজিবির দুইটি নতুন সেক্টর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে সরকারি বিধিমোতাবেক দীঘিনালার বাবুছড়ার যত্নমোহন কার্বারী পাড়ায় ২৯.৮১ একর ভূমির উপর গতবছর থেকে ব্যাটলিয়ন সদর দফতর স্থাপনের কাজ শুরু হয়। অধিগ্রহণ করা ভূমির মধ্যে মাত্র ২.২০একর ভূমির মালিকানা রয়েছে বাকি ২৭.৬১একর সরকারি খাস ভূমি। সরকার বিধি মোতাবেক ২.২০একর ভূমির জন্য ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২শ ৬৮ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় এবং ভয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণের টাকা গ্রহণ করতে পারছেনা।

যারই অংশ হিসেবে সাধারণ এসব পাহাড়িদের দিয়ে বারংবার আন্দোলনের নামে সরকারি স্থাপনা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে স্বার্থান্বেষী মহলটি। কিন্তু বিজিবি যথেষ্ট ধর্য্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার যে দায়িত্ব বিজিবির উপর রয়েছে তা যথাযথ ভাবে পালন করতে দেশবাসীর সহযোগিতার কামনা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিজিবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ পূর্ব রিজিয়নের অপ্স অফিসার কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তিকে সমন্বিত রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সীমান্ত এলাকায় ৯২টি বিওপি নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে ৩৩টি বিওপি নিমার্ণাধীন এবং বাকিগুলো নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। সীমান্ত অপরাধ বন্ধ এবং সীমান্ত এলাকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার যে গুরু দায়িত্ব বিজিবির উপর অর্পিত আছে তা যেকোন মূল্যে পালন করার কথাও ব্যক্ত করেন তিনি। এসময় খাগড়াছড়ি সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল সাজ্জাদ হোসেনসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে খাগড়াছড়ির সিনিয়র সাংবাদিক তরুণ ভট্টাচার্য্য, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়াসহ বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশন এবং রেডিও কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এটিআর/মার্চ ২০, ২০১৫)