স্টাফ রিপোর্টার : ডিএমপির গোয়েন্দা ও তথ্য অপরাধ পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শেখ নাজমূল আলম বলেছেন, ঈদ ও পূজাসহ বিভিন্ন জাতীয় উৎসব-অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে বাজারে টাকার চাহিদা বাড়ে। আর এই সুযোগ নিয়েই জালনোট কারবারিরা সক্রিয় হয়ে ওঠে।

শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর রমনা এলাকার ৫৪নং বড় মগবাজার আল্লারদান বিরিয়ানী হাউজের ৪র্থ তলা থেকে জাল নোট কারবারি চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকার জালনোট এবং জালনোট তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

জালনোট তৈরির সরঞ্জামাদির মধ্যে ছিল অর্ধকোটি টাকা তৈরির অর্ধ ছাপা কাগজ, ১২টি ফ্রেম, রং, নিরাপত্তা সুতা, ৪টি ল্যাপটপ, ১টি ডেক্সটপ, ৩টি প্রিন্টার ও ১০০ টাকার জালনোট।

আটককৃতরা হলেন, জালনোট কারবারি চক্রের মূল হোতা মো. মনির খান (২৪), ইয়াকুব ফকির (২০), মো. রুবেল গাজী(২৫), মো. শাহাবুদ্দিন(৩২) ও মোঃ. নাজমুল ইসলাম (১৮)।

শেখ নাজমূল আলম বলেন, আটককৃত জালিয়াতি চক্রের মূল হোতা মোঃ মনির খান দীর্ঘ ৬/৭ বছর যাবৎ জাল টাকার ব্যবসার সাথে জড়িত।

আত্মগোপনে থেকে কারখানা থেকে বিপুল পরিমানে জাল টাকা, ভারতীয় রুপি, ডলার, ইউরোসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের জালটাকা তৈরি করে ঢাকাসহ সারাদেশে বাজারজাত করে আসছে মনির। তাছাড়া তার সহযোগীরা এক লাখ টাকার জালনোট মাত্র দশ হাজার টাকায় বাজারজাত করে আসছিল।

শেখ নাজমূল আলম আরো বলেন, এরা মূলত ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে যখন বাজারে টাকার টাহিদা বাড়ে তখনই এই চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

(ওএস/পিবি/মার্চ ২১, ২০১৫)