নাটোর প্রতিনিধি : এক সময়ের খরস্রোত মরা আত্রাই নদীর বুক জুড়ে এখন বোরো ধান ও বাদাম ফসলের চাষ হচ্ছে। বছরের বেশিরভাগ সময় পানি না থাকায় মাছের অস্তিত্বও প্রায় বিলীন হওয়ার পথে।

এলাকাবাসী জানায়, প্রায় তিন যুগ আগেও এ নদীটি ছিল খরস্রোত নদী। কালের আর্বতে পলি জমে পড়ে ও সাহেবঞ্জ এলাকায় নদীর মুখে বাঁধ দিয়ে আটকে দেওয়ায় এ নদী এখন মৃতের তালিকায়। নওগাঁর আত্রাই উপজেলা ও নাটোর সদরের একাংশ এবং সিংড়া উপজেলার পুরো অংশ জুড়ে এ নদীর বিস্তার। খাজুরা গ্রামের সাদেক আলী জানান, ছোট বেলায় আমরা এ নদী বেশ খরস্রোত দেখেছি। সে সময় সারা বছরই পানি থাকতো। নদীর পানি সেচ দিয়ে বোরো ফসল চাষ করা হত। এখন প্রায় ২৪/২৫ বছর হতে চললো নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারনে সেচ কাজও হয় না, মাছও দেখা যায় না। মহিষডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ জানান, ছোট বেলা থেকে নদীটি দেখে আসছি । কখনও এটি ড্রেজিং করা হয়নি। তবে বছর চারেক আগে নদীর কোন কোন অংশে খনন করতে দেখা গেছে। তাও সঠিক ভাবে করা হয়নি। বর্ষার কারনে নদীটি ডুবে যাওয়ায় খনন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে আর খননের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
বিষা গ্রামের আব্দুস সালাম জানান, নদীকে ঘিরে এ অঞ্চলে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াত সুবিধা ছিল তাও এখন নেই। কয়েক হাজার জেলে পরিবারের জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্র ছিল এটি। নদীর বুকে ধান ক্ষেতে সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে মাছেরও সর্বনাশ হয়েছে। এখন আর আগের মত মাছও মিলে না।
(এমআর/পিবি/মার্চ ২১,২০১৫)