শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলা হাসপাতালে ১২  মে সোমমবার সকালে চিকিৎসক এবং নার্সদের অবহেলায় শিপ্রা রানী দাস (২২) নামে একজন গর্ভবতী মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই গর্ভবতী মহিলা শেরপুর শহরের গোপালবাড়ী মহল্লার দরিদ্র ট্রাক শ্রমিক অতুল দাসের মেয়ে।

এলাকাবাসী ও মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রসব ব্যাথা ওঠার পর রবিবার রাত ১২ টার দিকে ওই গর্ভবতী মহিলা রোগীকে শেরপুর জেলা হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর ডিউটিরত চিকিৎসক ও নার্সরা ওই রোগীর কোন চিকিৎসা দেয়নি। এমনকি গাইনী বিভাগের বিশেষজ্ঞকে বিষয়টি জানাননি। সোমবার সকালের দিকে রোগীর অবস্থার আরো অবনতি হয়। এ সময় রোগীর আত্মীয়স্বজনের ডাকাডাকিতে একজন নার্স ওই গর্ভবতী মহিলা রোগীকে একটি ইনজেকশান দেন। এর পর দুই মিনিটের মধ্যে ওই গর্ভবতী মহিলা মারা যান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যখন ওই গর্ভবতী মহিলাকে ইনজেকশন দেওয়া হয়, তখন গাইনী ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ছিলেন নার্স লুুৎফুন্নাহার ও নার্স জমেলা বেগম।
গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুর সময় রোগীর আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। তারা চিকিৎসক ও নার্সদের শাস্তি দাবি করেন। সিভিল সার্জন ডা. নারায়ণ চন্দ্র দে এ সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। তিনি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা ও দোষীদের শাস্তি দেওয়ার আম্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার সেলিম মিয়া বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তিনি জানান, এ ব্যাপারে জেলা হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মাহমুদ সিনহা‘কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অবহেলায় প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এইচবি/এএস/মে ২০১৪)