মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কালকিনি মডার্ন হাসপাতাল (প্রাঃ) লিমিটেড নামের এক ক্লিনিকে  শনিবার রাতে পেটে অপারেশনের সময় কর্মরত চিকিৎসকদের ভুলে নয়ন খলিফা (১১) নামের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে পারিবারিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।

সে কালকিনি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র এবং পৌর এলাকার উত্তর রাজদি গ্রামের হাবিব খলিফার ছেলে।
নিহতের পরিবার, ক্লিনিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নয়নের পেটে ব্যাথা উঠলে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সময় হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী) রেজাউল করিম পাশের প্রাইভেট ক্লিনিক মর্ডান হাসপাতালে তাকে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেয়। ঐ ছাত্রের পরিবার তাকে ক্লিনিকে ভর্তি করে।
রাতে অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়। প্রাইভেট ক্লিনিকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী) ডা. রেজাউল করিম, সাহেবরামপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মু. জিয়াউদ্দিন ও ডা. এনামুল হককে সাথে নিয়ে ঐ ছাত্রের অপরেশন করে।
অপারেশন শেষে রোগীর রক্ত পড়া বন্ধ করতে না পেরে চিকিৎসকরা অন্য জায়গায় অপারেশন আছে বলে দ্রুত পালিয়ে যায়। এরকিছুক্ষণ পরই শিশুটির অবস্থা খারাব হলে তাকে দ্রুত বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানের গেলে কর্মরত চিকিৎসকরা জানায় রোগী অনেক আগেই মারা গেছে।
পরে কালকিনি মর্ডান হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সের চালক বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থেকে লাশ এনে রোগীর বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। এনিয়ে রোগীর পরিবার ও গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে কালকিনি মর্ডান হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হরিপদ দাশ বলেন, একটি ভুল হয়েছে কিন্তু নিহতের পরিবারের সাথে সমঝোতা চলছে।

(এএসএ/পিবি/মার্চ ২২,২০১৫)