শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরে দু’জন পেশাদার শিকারীর কাছ থেকে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির দু’টি তিলাঘুঘু উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে তাদের পাখি শিকারের সরঞ্জামাদি ধ্বংস করা হয়েছে। ২২ মার্চ রবিবার সকালে শেরপুর শহরের থানা মোড় থেকে এই ঘুঘু দু’টিকে উদ্ধার করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রকৃতি প্রেমী মোহাম্মদ ফজলুল হক রবিবার সকালে শহরের রঘুনাথ বাজার থানা মোড় হয়ে নিজ কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এসময় দু’টি তিলাঘুঘু এবং পাখি শিকারের সরঞ্জামসহ দুই শিকারীকে রাস্তা অতিক্রম করতে দেখতে পান। তিনি ওই শিকারীদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা এসব ঘুঘু দিয়ে ঘুঘু শিকারের কথা স্বীকার করেন। ওই দুই শিকারী নিজেদের নকলা উপজেলার সিঙ্গুয়া গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে আমির উদ্দিন ও মো. আওয়াল মিয়ার ছেলে ফিরোজ মিয়া বলে উল্লেখ করেন এবং বহুদিন থেকে বক, ঘুঘুসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিকার করে আসছেন বলেও স্বীকার করেন।

একপর্যায়ে পথচারিদের সহায়তায় ওই দুই পাখি শিকারীকে আটক করে এবং স্থানীয় সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মীদের সংবাদ দেওয়া হয়। সংবাদ পেয়ে পেয়ে কয়েকজন সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় জনগনকে সাথে নিয়ে শিকারের কাজে ব্যবহৃত তিলাঘুঘু দু’টি উদ্ধার করে আকাশে অবমুক্ত করা হয় এবং পাখি শিকারের সরঞ্জামাদি ধ্বংস করে ফেলা হয়।

প্রকৃতিপ্রেমী ফজলুর রহমান বলেন, বন্যপ্রাণী শিকার করা অন্যায় এবং আইনত: দন্ডনীয় অপরাধ। এজন্যই সামাজিক সচেতনতার দায়বদ্ধতা থেকে ওই দুই পাখি শিকারীকে চ্যালেঞ্জ করেছি। পরে স্থানীয় জনতা এবং সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মীদের সহায়তায় ঘুঘু দুটি উদ্ধার করে খোলাআকাশে অবমুক্ত করি। সেইসাথে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে পাখি ও বন্যপ্রাণী শিকার না করার পরামর্শ দিয়ে দেন তারা ভবিষ্যতে আর পাখি শিকার করবেনা এমন মুচলেকা দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় পরিবেশবাদি সংগঠন শাইন্’র নির্বাহী পরিচালক মো. মুগনিউর রহমান মনি জানান, তিলাঘুঘু এখন অনেকটা বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি। উদ্ধার হওয়ার ঘুঘু দুটির মধ্যে একটি ঘুঘু উড়তে না পারায় শেরপুরের বন্যপ্রাণী ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

(এইচবি/এএস/মার্চ ২২, ২০১৫)