বগুড়া প্রতিনিধি : বাংলাদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য আমাদের কুটির শিল্প। এক সময়ে কুটিরে বসে তৈরি হতো ডালি কুলা, পাখা, চালুনী, সরবেশ (এক ধরনের ঢাকনা), নকশি কাঁথা, মাদুর, বেতের মোড়া ও মাটির তৈজসপত্র। আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই কুটির শিল্পের নন্দিত সব শিল্পকর্ম সমাদরের পরিবর্তে অনেকটা অনাদৃত হলেও হালে তা আবার শহুরে মানুষের পছন্দের তালিকায় আসতে শুরু করেছে।

তাই ক্ষেত্র বিশেষে বাড়ছে এ শিল্পের কদর। আগে কুটির শিল্পের শিল্পীরা ঘরে বসে নিজ এলাকায় এ কাজগুলো করে থাকলেও বর্তমানে সেক্ষেত্রেও এসেছে ভিন্নতা। চাহিদা বৃদ্ধির কারণে কুটির শিল্পীরা এখন বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে তৈরি করছে ঐতিহ্যবাহী সব শিল্পকর্ম। বিশেষ করে আমাদের গ্রামীণ ও নগর মেলাকে কেন্দ্র করে অস্থায়ী ভাবে বিভিন্ন স্থানে তাদের এ অবস্থান।

এমনই কারণে সোনাতলায় গত ১০/১৫দিন যাবৎ অবস্থান করে নিপূন হাতের কারুকার্যে বাঁশের বিভিন্ন জিনিস পত্র তৈরি করছে কুঁটির শিল্পীরা। উপজেলার পৌর সদরের ঘোড়াপীর রোডে পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডে তারা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের নন্দিত এ কর্ম। প্রতিদিন এখান থেকে উৎপাদিত নকশা করা ডালি, কূলা, চালুনী, ঢাকনা, সরবেশ, কলমদানী, ফুলদানীসহ ছোট বাচ্চাদের খেলনা চলে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। অনেকে অর্ডার দিয়েও জিনিসপত্র তৈরি করে নিচ্ছে। প্রতিদিন তাদের সুচারু হাতের নিপুন কারুকাজ দেখতে ভিড় জমাচ্ছে শত শত মানুষ।

কুটির শিল্পী সুজন কুমার বেধ জানান, তাদের আদি নিবাস চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলায়। ক্রমাগত চাহিদার প্রেক্ষিতে ও বৈশাখী মেলাকে সামনে রেখে দেশে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে তারা এ ধরনের কাজ করছে। কুটির শিল্পী ময়না, সুলতানা রানী, মালা রানী, মাধবী রানী, ঝন্টু, বিপুল কুমার বেধ, সদেব কুমার বেধ ও ওমর ফারুক জানান, সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে এ শিল্পের তৈরি দ্রব্যাদি বিদেশে রফতানী করে দেশের সুনাম ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। তারা এ ব্যাপারে সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

(এএসবি/এএস/মার্চ ২৩, ২০১৫)