সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১নম্বর সুকাশ ইউনিয়নের শতকুঁড়ি গ্রামের দরিদ্র আবুল কালাম আজাদ এখন ছাগল পালনে স্বাবলম্বী। আর ছাগল পালনের মাধ্যমেই শক্ত হাতে ধরেছেন সংসারের হাল।

তিনি সরকারি অথবা বেসরকারি সহায়তা পেলে ছাগলের খামার গড়ে তুলে ওই এলাকার বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলবেন বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া মধ্যবিত্তদেরকে ছাগল পালনে উৎসাহী করার জন্য কাজ করতে চান তিনি।
আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০১১ সালে শখের বশে তিনি ৪টি ছাগল কিনে পালন করা শুরু করেন। ২বছরের মাথায় তাঁর ছাগলের সংখ্যা দাঁড়ায় ২০টিতে। এতে করে তাঁর সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে আসতে শুরু করে। বর্তমানে তিনি ১০০টি ছাগলের মালিক। ইতিমধ্যে প্রায় ১ লক্ষ টাকার ছাগল বিক্রি করে পুঁজি অন্য খাতে ব্যয় করেছেন। আবুল কালাম আজাদের বয়স ৫৫ বছর। তার পিতা মতি প্রামানিক অনেক আগেই না ফেরার দেশে গমন করেছেন অথচ এখনও তার মনে অদম্য মনোবল। ১২জন সদস্যের পরিবারে শক্ত হাতে হাল ধরেছেন তিনি। নিত্যদিন সকালে ছাগলগুলো নিয়ে মাঠে ২-৩ ঘন্টা চড়ানোর পর বাড়িতে ফিরে আসেন। নিজ উদ্দ্যেগেই বসত বাড়ির আঙ্গিনার স্পল্প পরিসরে গড়ে তুলেছেন খামার। এরমধ্যে হাঁস- মুরগীও পালন শুরু করেছেন তিনি। সরকারি ভাবে কোন সহায়তা না পেলেও সম্পূর্ন নিজের গচ্ছিত টাকা দিয়ে ছাগল কিনে হাসি পরিবারের সদস্যদের মুখে। আর তার ইচ্ছে সরকারি অথবা বেসরকারি সহায়তা পেলে ছাগলের খামার গড়ে তুলে ওই এলাকার বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা।

(এএমআর/পিবি/মার্চ ২৪,২০১৫)