শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরে  প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের ২৯ কেজি ওজনের একটি কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তি  উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৮। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের শরীয়তপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তরের পর পুলিশ তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে  জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তিটি থানার মাল খানায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় শরীয়তপুর সদর মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫/খ- ১/ক ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

র‌্যাব-৮ এর সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ রাতে শরীয়তপুর সদর পালং থানার বুড়িরহাট বাজার এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি বিক্রয়ের প্রক্রিয়া করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ মাদারীপুরের একটি বিশেষ দল শরীয়তপুরের ওই এলাকায় গভীর রাতে অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে নড়িয়া উপজেলার কাঞ্চন পাড়া গ্রামের মৃত মিলু বেপারীর ছেলে মো. লিটন বেপারী (৪৩) ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও গ্রামের মৃত সোনাই হাওলাদারের ছেলে আলী আহম্মদ (৪৫) কে আটক করে। এ সময় আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তি ক্রয়-বিক্রয়ের কথা স্বীকার করে এবং তাদের হেফাজতে থাকা কালো রং এর বিষ্ণু মূতির্টি চটের বস্তায় মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মূর্তিটি খোধাই করা ছোট বড় ১১টি দেব-দেবীর সমন্বয়ে তৈরি করা। যার ওজন আনুমানিক ২৯ কেজি, দৈর্ঘ্য ৩১ ইঞ্চি প্রস্থ ১৩ ইঞ্চি। যার মূল্য আনুমানিক ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর পর গতকাল সোমবার রাতে উদ্ধারকৃত কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তিটিসহ গ্রেফতারকৃদের পালং মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করে পুলিশ। এরপর আদালতে হাজির করা করা হলে শরীয়তপুরের মূখ্য বিচারিক কাকিম মো. এহসানুল হক আসামীদের জেল-হাজতে প্রেরণ করেন।

ব্যাব-৮ এর কোম্পানী কমান্ডার এএসপি সুমন সরকার বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মূল্যবান প্রতœতাত্তিক সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ জানতে পারে ২২ মার্চ শরীয়তপুর সদর উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় কিছু লোক একটি মূল্যবান প্রত্ন সম্পদ বিক্রির পায়তারা করছে। খবর পেয়ে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ২ ব্যক্তিকে সহ মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। পরে মাদারীপুরের কয়েকজন অভিজ্ঞ স্বর্নকারের মাধ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা গেছে এটি কষ্টি পাথরের মুর্তি।

এ বিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, আটককৃত দুইজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষ্ণু মূর্তিটির বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(কেএনআই/এএস/মার্চ ২৪, ২০১৫)