সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সকলের সদিচ্ছা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। জাতীয় উন্নয়নে সকলের সমঅংশিদারিত্ব ও ভোগের সুযোগ থাকা বাঞ্ছনীয়। লুন্ঠনের সংস্কৃতি পরিহার করে সংবিধানে উল্লেখিত মানুষের সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে তা ভোগের ও প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে। দেশের প্রত্যেক নাগরিক সে যে ধর্ম-বর্ণ, গোত্র, মত পথের হোক না কেন তার মত প্রকাশের অধিকার দিতে হবে, তার ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার থাকতে হবে। যাতে কারো মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় সে ব্যাপারে রাষ্ট্রকে চরম সতর্ক হয়ে সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশকে স্থিতিশীল রাখতে জাতীয় স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দলকে বোঝাপড়ার মাধ্যমে একক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। ’৭২ সংবিধান বাংলাদেশে ’৭২ এর সংবিধান বহাল থাকলে সমাজে ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান করা সম্ভব হতো।

রোববার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা অফিসার্স ক্লাবে সাতক্ষীরা জেলার ‘উন্নয়ন অন্বেষণ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিষয়ক’ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, মানবাধিকারকর্মী, আইন ও সালিশ কেন্দ্র-আসক’র নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন।
বেসরকারি সংস্থা স্বদেশ এর আয়োজনে ও ঢাকা আইন ও শালিস কেন্দ্রের সহযোগিতায় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী অ্যাড. সুপ্রিয় চক্রবর্তী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন মুখার্জী, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিত সাধু।
রাজনৈতিক নেতা, মানবাধিকার কর্মী, জামায়াত শিবিরের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
(আরকে/এএস/মে ১২, ২০১৪)