ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে শিশু বয়স্ক সহ অন্তত ৫০ জন কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে হাসপাতালে (এ,আর,ভি) এন্টি রেবিস ভ্যাকসিন সংকট রয়েছে বলে তার চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেনা।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এ,আর,ভি ভ্যাকসিন হচ্ছে জলাতংঙ্ক প্রতিষেধক। কুকুরের কামড়-বিড়ালের আচড়ে মানব দেহে জলাতংঙ্ক রোগের সৃষ্টি হয়। এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের মূখ থেকে লালা ঝড়ে,আচরণ হয় বিটখিটে। পানি (জল) দেখলে এরা আতংঙ্কগ্রস্থ হয়। তাদের সংস্পর্শ আচড় কিংবা কামড়েও মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়, শেষ পরিনতি মৃত্যু। ভয়াবহ এ রেগ প্রতিরোধে সরকারীভাবে জলাতংঙ্ক প্রতিষেধক ভেকসিন দেয়া হয় ঢাকা মহাখালী হাসপাতাল, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেলার সরকারী হাসপাতাল থেকে। ভেকসিন সংকটের কারনে এ ওষুধ কিনতে হচ্ছে বাহির থেকে।

ওষুধ ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানায়, বর্তমানে ওষুধ ব্যবসায়ীদের দোকানে ৩ ধরনের প্রতিষেধক ভেকসিন রয়েছে যার মূল্য খুবই চড়া। এরমধ্যে ভারতের রেবিপুর ৬শ ৪০টাকা পিচ হিসাবে কুকুরে কামড়ানো রোগীর ফুল কোর্স ৫টি ভেকসিন ৩ হাজার ২শ টাকা, ফ্রান্সের ভেরোরাব ৬শ ৪০টাকা পিচ হিসাবে ফুল কোর্স ৩ হাজার ২শ টাকা ও দেশী রেভিক্স ভিসি ৫শ টাকা পিচ হিসাবে ২৫ শ টাকা দাম রয়েছে যা গরীব রোগীদের পক্ষকেনা সম্ভব হচ্ছেনা।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগের মেডিকেল সহকারী মনীন্দ্র নাথ দত্ত জানান, সোমবার থেকে বুধবার বেলা ১টা পর্যন্ত অন্ততঃ ৫০ জনের অধিক কুকুরের কামড়ে আহত রোগী এসেছে। হাসপাতালে সরকারি ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ভ্যাকসিন সংকটের কথা স্বীকার করেন সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মানসকৃষ্ণ কুন্ডু। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেননি কবে সরকারি ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।

(এএম/পিবি/মার্চ ২৫,২০১৫)