আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এলজিইডি বিভাগের প্রায় ২০ লাখ টাকার সড়ক নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। পুরাতন বিল্ডিংয়ের রাবিশ ও খোয়া দিয়ে অনিয়মের মাধ্যমে কাজ করায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওই কাজের তথ্য দিতেও তালবাহানা করছে সাংবাদিকদের সাথে। এদিকে ওয়ার্ক অর্ডারের পরেও দুই বছর কাজ না করায় লোকজনের চলাচলে দারুণভাবে ভোগান্তির শিকার হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগ ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে টেন্ডারে উপজেলার রথখোলা থেকে গৈলা বাজারের মসজিদ পর্যন্ত ৫৪০ মিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটি ব্যায় ধরা হয় ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। একই টেন্ডারের প্যাকেজে ড. নীলকান্ত বেপারীর বাড়ির সামনে ব্রিজের দু’পাশে এপ্রোচ নির্মাণের কথাও রয়েছে। টেন্ডারে কার্যাদেশ পায় মেসার্স ফরহাদ এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০১৩ সালে সড়কের বেড কেটে খোয়া ফেলে রাখে। তবে দীর্ঘ দু’বছরেও কাজটি শেষ করেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে কাজটি পুনরায় শুরু করলেও তাতে নিুমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

ঠিকাদার নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেনকে ম্যানেজ করে নিুমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করলেও এর বিরোধিতা করার সাহস পাচ্ছে না স্থানীয় লোকজন। উন্নয়ন কাজের তথ্য জানতে চাইলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন কিচু জানেন না জানিয়ে হিসাব রক্ষকের কাছে তথ্য নেয়ার কথা বলেন। এর পূর্বেও একই উপ-সহকারী প্রকৌশলীর সহযোগিতায় ওই ঠিকাদার নিুমানের সামগ্রী ব্যবহার করে বাশাইল-বাটরা সড়ক নির্মাণ করা হয়। যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। সরজমিনে দেখা গেছে, ওই রাস্তার কাজে পুরাতন বিল্ডিংয়ের রাবিশ ও খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রাজকুমার গাইন জানান, তিনি নিজে সরজমিনে পরিদর্শন করে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

(টিবি/এএস/মার্চ ২৬, ২০১৫)