স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : ব্রাজিলিয়ান কোচ লুইস ফেলিপ্পে স্কলারি ৬৪ বছর আগের ‘ট্র্যাজেডি’ মুছে দিয়ে মারাকানায় এবার শিরোপা উৎসব করতে রীতিমতো মুখিয়ে আছেন। পারলে ব্রাজিল তো বটেই ফুটবল বিশ্বের কাছেও তিনি পরিণত হবেন কিংবদন্তিতে, না পারলে মুদ্রার উল্টো পিঠ, মানে ‘ভিলেন’।

যদিও চ্যালেঞ্জটাতে মোটেও ভয় পাচ্ছেন না স্কলারি, জেনে-বুঝেই যে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়েছেন ব্রাজিলের! গত নভেম্বরে ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্কলারি জানিয়েছিলেন, ‘যদি আমি ভয় পাই, তাহলে তো ক্যারিয়ারে কোনো কিছুই অর্জন করতে পারব না।’

চ্যালেঞ্জটাতে সফল হলে ফুটবল ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় কোচ হিসেবে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের খ্যাতি জিতবেন স্কলারি। একমাত্র কোচ হিসেবে যে অর্জনটা ইতালিকে ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে টানা দুই বিশ্বকাপ জেতানো ভিত্তোরিও পোজ্জোর।

চ্যালেঞ্জটা শুধু নিজের মধ্যে নয়, শিষ্যদের মনেও গেঁথে দিয়েছেন ভালোমতো, ‘খেলোয়াড়রা সবাই ভালো করে জানে তাদের বিশ্বকাপটা জিততে হবে। কারণ তারা জানে ব্রাজিলের মাটিতে আর কোনো বিশ্বকাপ খেলা হবে না এবং সে কারণে তারা চিন্তাও করছে না দ্বিতীয় হওয়ার।’

স্কলারির চাপটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) চেয়ারম্যান হোসে মারিয়া ম্যারিন, গত মাসে যখন তিনি বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘হেরে গেলে আমরা সবাই রসাতলে যাব।’

১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল যে এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় ব্রাজিলিয়ানদের। পাঁচটি বিশ্বকাপ দেশে এলেও উরুগুয়ের কাছে হেরে গোটা ব্রাজিলকে স্তব্ধ করে দেওয়ার স্মৃতি যে আজও ভুলতে পারেনি তারা। ক্ষত হওয়া হৃদয়ে প্রলেপ দিতে তারা কেবল এই বিশ্বকাপের দিকেই তাকিয়ে আছে। কোটি মানুষের সেই আশা পূরণের কঠিন চ্যালেঞ্জটা ২০১২ সালের নভেম্বরে লুফে নিয়েছিলেন স্কলারি। দ্বিতীয় মেয়াদে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘জাতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে চাই।’

গত বছর ফিফা কনফেডারেশনস কাপের শিরোপা জিতিয়ে ‘হেক্সা’র স্বপ্নের পথে কিন্তু এক ধাপ এগিয়ে গেছেন তিনি।

(ওএস/পি/মে ১২,২০১৪)