যশোর প্রতিনিধি : চাঁদপুরে ট্রাকে পেট্রোল বোমা হামলায় নিহত গরুর রাখাল খোরশেদ আলমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এখন তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের বুকফাটা কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে আশপাশের প্রতিবেশী। ৬ জনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অকাল মৃত্যুতে কেমন করে চলবে পরিবারটি তা নিয়ে বিচলিত স্বজন এবং পাড়া প্রতিবেশিরাও।

গত ১৭ মার্চ গরু বোঝাই করে চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন গরুর রাখাল খোরশেদ আলম। ফেরার পথে ১৮ মার্চ রাতে চাঁদপুরে পেট্রোল বোমা হামলার শিকার হন। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকের চালক মারা যান। এর চারদিন মৃত্যু যন্ত্রণা ভুগে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ট্রাকের মালিক শরীফ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খোরশেদ আলম। শুক্রবার সকালে তার লাশ গ্রামের বাড়ি যশোরের বাগআঁচড়ায় পৌছালে স্বজনের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে সেখানকার পরিবেশ। আর কাঁদতে কাঁদতে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন খোরশেদের স্ত্রী আয়েশা খাতুন। স্ত্রী, এক সন্তান, মা ও শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে ছিল খোরশেদের পরিবারে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অকাল মৃত্যুতে কেমন করে চলবে পরিবারটি তা নিয়ে বিচলিত স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশিরাও। অসহায় এ পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

(জেকেএম/এএস/মার্চ ২৭, ২০১৫)