পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে তরমুজের ভরা মৌসুমে চালান হচ্ছেনা আশানুরুপ তরমুজ। প্রতি বছরের চেয়ে চলতি বছর গাছ বেশি হলেও ফসল তুলনামুলক কম বলে জানান তরমুজ চাষীরা। প্রতি বছর ঠিক এই মৌসুমে প্রচুর পরিমান তরমুজ চালান হতো ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন শহর বন্দরে।

দামও ছিল বেশি। চলতি মৌসুমে ফলন কম হওয়ায় প্রতি বছরের মত চালান হচ্ছেনা তরমুজ। উচ্চ মুল্যে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে গাছের শক্তি বারানো হলেও ফলন বারেনি ফসলের। এতে চিন্তিত তরমুজ চাষীরা। চাষী হেলাল উদ্দিন, কালু মিয়া,মোশারেফ হোসেন সহ অনেকে বলেন, তরমুজ চাষে একর প্রতি প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বছর এ খরচের পরেও প্রত্যেক চাষী ভাল লাভবান হতো।

এ বছর একদিকে ফলন কম, অন্যদিকে দামও কম। এর উপর বহন খরচ বেশি, কোন চাষীই এখন পর্যন্ত লাভের মুখ দেখেনি। বি এন পি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল, অবরোধের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মালামাল বহনকারী ট্রাকসহ অন্যান্য গাড়ীগুলো সচারাচর না আসতে পারায় নৌ পথে লঞ্চ ও কারগোতে চালান করতে হয় তরমুজ। এতে বহন খরচ হয় বেশি। তারা আরও বলেন প্রতি বছর এমন দিনে সমস্ত খরচ উঠিয়ে অনেক লাভে থাকতাম, এ বছর এখন পর্যন্ত খরচ উঠাতে পারিনি। সামনের দিকে পারব কিনা তাও বলা মুসকিল। তরমুজ চাষে বীজ বপন থেকে শুরু করে ফলনের শেষ পর্য্যন্ত গাছ ও ফলের পরিচর্যা করতে হয়। সার, কীটনাশক, সেচ যখন যা প্রয়োজন ব্যবহার করতেই হয়। এতে যে অতিরিক্ত খরচ হয় চলতি মৌসুমে দাম কম থাকায় লোকশানেরই আশংখ্যা বেশী বলে মনে করছেন চাষীরা।

অধিকাংশ চাষীই মহাজনার দাদন এনে তরমুজ চাষ করে। দাদন শোধ করে লাভবান হওয়া মুসকিল বলে মনে করছেন তারা। ভবিষ্যতে তরমুজ চাষের পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে চাষীরা জানান, এ বছর যদি লোকশান হয়, তা হলে সামনের দিকে অনেক চাষীই তরমুজ চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। তবে এর ব্যতিক্রম মন্তব্য ও করেছেন অনেক চাষীরা। চাষী মফিদুল মতলেব হাওলাদার বলেন, চাষ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সার সেচ, কীটনাশক সহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারলেই তরমুজ চাষে ভাল ফলন পাওয়া

সম্ভব। উপ সহকারি কৃষি অফিসার মামুন হোসাইন জানান, প্রয়োজনীয় সার কীটনাশক সেচ ব্যবস্থার অভাবে ফলন কম হতে পারে।

(এমআরআর/এএস/মার্চ ৩১, ২০১৫)