বেরোবি প্রতিনিধি : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) আন্দোলনরত ১৪জন শিক্ষকের ২৭টি পদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বুধবার দুপুরে রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম রনি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, শিক্ষক সমিতি প্রদত্ত বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত বছরের ৯ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে ১৮ জন শিক্ষক মোট ৩৫ টি প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর মধ্যে ৪ জন শিক্ষক ৮টি পদে তাদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে দায়িত্বে যোগদান করেন। বাকি ১৪ জন শিক্ষক ২৭টি পদে তাদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার না করায় অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের পদত্যাগপত্র প্রহণ করেছে।

যাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে তাঁরা হলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট এবং গণিত, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পদ (৫টি পদ) থেকে পদত্যাগকারী ড. আর এম হাফিজুর রহমান; কলা অনুষদের ডিন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট, বাংলা বিভাগের প্রধান ও অর্থ কমিটির পদ (৪টি পদ) থেকে পদত্যাগকারী ড. সাইদুল হক; পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান পদ (৫টি পদ) থেকে পদত্যাগকারী ড. মোরশেদ হোসেন; সিন্ডিকেট সদস্য ও অর্থ কমিটির সদস্য পদ (২টি পদ) থেকে পদত্যাগকারী ড. সরিফা সালোয়া ডিনা; ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ও অর্থ কমিটির সদস্য পদ (২টি পদ) থেকে পদত্যাগকারী রফিউল আজম খান; ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সহকারী প্রভোস্ট পদ থেকে পদত্যাগকারী তানিয়া তোফাজ, সাইদুর রহমান ও শেখ মাজেদ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহকারী প্রভোস্ট পদ থেকে পদত্যাগকারী ড. শফিকুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, কমলেশ চন্দ্র রায় ও আজিজুর রহমান; রসায়ন বিভাগের প্রধান পদ থেকে পদত্যাগকারী এইচ এম তারিকুল ইসলাম এবং ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পদ থেকে পদত্যাগকারী আলী রায়হান সরকার।

প্রায় চার মাস পরে কেন পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হল এই প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবী উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, আন্দোলনরত শিক্ষকদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ৩১শে মার্চ। কিন্তু তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত জানান নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমি এই সিদ্ধান্ত নেই।

(এডিএ/অ/এপ্রিল ০১, ২০১৫)