নিউজ ডেস্ক : আজ ১৩ মে, কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যরে ৬৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৪৭ সালের ১৩ মে তিনি কলকাতার যাদবপুর ১১৯ লাউডন স্ট্রিটের রেড এন্ড কিওর হোমে যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে মৃত্যুবরন করেন। কবির পৈত্রিক ভিটা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামে কবি সুকান্ত স্মৃতি সংসদ, কবি সুকান্ত সেবা সংঘ ও কোটালীপাড়া উদীচী শিল্পী গোষ্ঠি যৌথ ভাবে কবির মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে সকাল ৭টায় কবির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী, বিকেল ৪টায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ভারতে জন্ম গ্রহণ করলেও কবির পিতৃ পুরুষের নিবাস গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামে। সুকান্তের পিতা নিবারণ ভট্টাচার্য্য কলিকাতার কলেজ স্ট্রিটে বইয়ের ব্যবসা করতেন। ব্যবসার সুবাদে কবির পরিবারকে কলিকাতাই থাকতে হতো। দীর্ঘদিন কবির পরিবার কলিকাতায় অবস্থান করার কারণে তার পূর্ব পুরুষের ভিটাটি বেদখল হয়ে যায়। দীর্ঘ ৫৯ বছর বেদখল থাকার পরে ২০০৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কবির বাড়ী দখল মুক্ত হয়। দখল মুক্ত হওয়ার পরে কবির শূণ্য ভিটাটি অযতেœ পড়েছিল। বর্তমানে কবির পিতৃ ভিটায় কবির নামে সরকারী ভাবে একটি অডিটরিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে।

কবি সুকান্ত স্মৃতি সংসদের সভাপতি আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী আমরা যে পরিষরে পালন করে থাকি সেটি মনে হয় যথেষ্ট নয়। আমাদের দাবী প্রতি বছর সরকারি ভাবে যেন কবির জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়।

১৯২৬ সালের ১৫ আগষ্ট কবি সুকান্ত ভট্টচার্য্য কালীঘাটের মহিমা হালদার স্ট্রিটে মামা বাড়ীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নিবারন ভট্টাচার্য্য। মাতা সুনীতি দেবী। ছাড়পত্র, ঘুম নেই, পূর্বাভাস, অভিযান, হরতাল- তার উল্লেখ যোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবির প্রতিটি কবিতায় অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।

(ওএস/অ/মে ১৩, ২০১৪)