রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর ওপর দিয়ে চলতি মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায় শনিবার (০৪ এপ্রিল)।

ক্ষয়ক্ষতি পরিসংখ্যান দিতে গিয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক কর্মকর্তা একেএম মুজিবুর রহমান জানান, ঝড়ে রাজশাহীর নয় উপজেলার ৩২ হাজার ৫০টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ৬ হাজার ৯৬০টি বাড়ি এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ২৫ হাজার ৯০টি। তালিকায় ১৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এছাড়া ২ হাজার ৫৩৩ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।

মুজিবুর রহমান জানান, কালবৈশাখীতে নিহত হয়েছেন ৫ জন। আহত হয়েছেন ২৫ জন। নিহতদের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

নিহতরা হলেন- রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের সুধিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুল হাকিম (৪০), পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের ভরতমারিয়া গ্রামের রঘুনাথ বুসরার স্ত্রী ফুলমণি বুসরা (৭০), গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাঢ়িদহ ইউনিয়নের মৃত আবদুল খালেকের স্ত্রী মনোয়রা বেওয়া (৬০), বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে এমাজ উদ্দিন (৪৫) ও পাকুড়িয়ার মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা বেওয়া (৮০)।

জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক এ কর্মকর্তা জানান, টাকার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ২০ থেকে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া আহতদের প্রত্যেককে ৫ হাজার করে টাকা করে প্রদান করার জন্য এরই মধ্যে জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিয়েছেন।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, এরই মধ্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। আরও সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।

(ওএস/এটিআর/এপ্রিল ০৫, ২০১৫)