স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপির করা মামলার অভিযোগ সত্যি নয়। এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে হ্যাপিকে ধর্ষণের দায়ে রুবেল অভিযুক্ত নন বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে মামলার সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা। প্রতিবেদনে বলা হয়, রুবেলের বিরুদ্ধে হ্যাপির অভিযোগগুলোর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে খুব শীঘ্রই মামলাটি চিরদিনের মতো খারিজ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, প্রায় দুই বছর গোপনে প্রেম করে আসছিলেন আলোচিত মডেল হ্যাপি ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেন। একপর্যায়ে রুবেলকে বিয়ের জন্য চাপ দেন হ্যাপি। তখন বিয়েতে আপত্তি জানান রুবেল। সম্পর্ক গড়ায় বিচ্ছেদে। অপমান আর অভিমানে রুবেলের শাস্তি দাবি করে আদালতে ধর্ষণের মামলা করেন হ্যাপি। তিনি মামলার অভিযোগে বলেন, ভালোবাসার অজুহাতে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হ্যাপির সাথে বহুবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন রুবেল।

মামলার জেরে কারাগারেও যেতে হয় রুবেলকে। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। মামলার পর থেকেই সর্বত্রই আলোচনায় ছিলেন এই দুই তারকা। এমনকি, সদ্য শেষ হওয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে রুবেলের খেলতে যাওয়াটাও ছিলো অনিশ্চয়তার মুখে। তবে রুবেল গিয়েছেন এবং দলের প্রয়োজনে জ্বলে উঠে জাতির কাছে জাতীয় বীরে পরিণত হয়েছেন।

রুবেলের এই সাফল্যে বিপাকে পড়ে যান হ্যাপি। প্রথমদিকে কিছু মানুষের সহানুভূতি পেলেও রুবেলের জনপ্রিয়তায় ঢাকা পড়ে যায় সব। সবাই হ্যাপির একক সমালোচনায় মেতে উঠলে কোনঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। আর সবচাইতে বড় কষ্ট পান তার উকিল কুমার দে যখন জাতীয় হিরো আখ্যা দিয়ে রুবেলে বিরুদ্ধে মামলা লড়তে আপত্তি জানান। সব কষ্টের পাহাড় বুকে জমিয়ে অভিমানে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করেন হ্যাপি। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। এরপর থেকেই নিজেকে আমূল বদলে ফেলেন এই তারকা।

রুবেলের উপর আনীত সকল অভিযোগ তুলে নিয়ে রুবেলকে ক্ষমা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন ফেসবুক স্ট্যাটাসে। মনযোগ দেন নিজের ক্যারিয়ার গড়ায়।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ০৬, ২০১৫)