পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় দারছিরা নদী । এক সময়ের দারছিরা এখন আর নদী নেই। মাঝখানে বিশাল এলাকা ভরাট হয়ে জন বশতিতে পরিনত হয়েছে। দু’পাশ দিয়ে রয়ে গেছে এক সময়কার ভয়াবহ দারছিরার অংশবিশেষ।

পশ্চিম পারে বড়বাইশদিয়া, ও প্রস্তাবিত মৌডুবী ইউনিয়ন, পুর্ব পারে রাঙ্গাবালী সদর ও ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন । ২০১০ সালে পশ্চিম অংশে ক্লোজার হয়ে যাওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থায় কিছুটা সুযোগ হলেও সড়ক পথে বাধা হয়ে রয়েছে পুর্ব পাশের নদী নামের এই খালটি। এ নিয়ে যেন কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই। প্রতিদিন শত শত মানুষের উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষায় পার হতে হয় এই খাল। নেই কোন ব্রিজ। ব্রিজের অভাবে ভোগান্তিতে দু পারের অন্তত ৭০,০০০ হাজার মানুষ।

বড়বাইশদিয়া ও প্রস্তাবিত মৌডুবী ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সদরে আসতে যেমন পার হতে হয় এই খাল, তেমনি রাঙ্গাবালী সদর ও ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন থেকে বড়বাইশদিয়া, মৌডুবীসহ কলাপাড়া উপজেলায় আসা যাওয়া করতে পার হতে হয় একই খাল। পারাপারের বাহন একটি মাত্র খেয়া নৌকা।

জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী,পুরুষ মহিলা,শিশু সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেষার মানুষ আসা যাওয়া করে খেয়া পার হয়ে। এলাকাবাসী জানান, রাঙ্গাবালী খালগোড়া বাজার সংলগ্ন এই খেয়ার দু পাড়ে রয়েছে উপজেলার একমাত্র প্রধান সড়ক। তাই প্রতিদিন খেয়া পার হয়ে এ পথেই তাদের আসা যাওয়া। কাদা,পানি থেকে খেয়া যাত্রীদের রেহাই পাওয়ার জন্য দু বছর আগে সরকারী অর্থ ব্যয়ে ক্ষমতাশীল দলের লোকদের মাধ্যমে দু পারে নাম মাত্র ঘাট বাধানো হলেও ৬ মাষ না যেতেই তা ভেঙ্গে যায়।

বর্তমানে হাটুজল কাঁদা পেরিয়ে খেয়ায় উঠতে হয়। তা ইবা কতটুকু নিরাপদ। খেয়া তলিয়ে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিপুর্বে এমনটা ঘটেছিল কয়েকবার। তাতে কেউ মারা না গেলেও সাতরিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছিল যাত্রীরা। খালগোড়া বাজার সংলগ্ন খেয়াঘাটে একটি ব্রিজ এখন রাঙ্গাবালী বাসীর প্রানের দাবী। উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান কবির চান বলেন, এখানে একটি ব্রিজ একান্তই দরকার, আমি যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাব।

(আরআর/এএস/এপ্রিল ০৭, ২০১৫)