মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চরদৌলতখান ইউনিয়নে মঙ্গলবার সকালে কালাই শিকদার (৪০) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, কালকিনির রমজানপুর ইউনিয়নের মৌজালী শিকদারের ছেলে মো. কালাই শিকদারের সাথে একই উপজেলার চরদৌলতখান ইউনিয়নের মো. কালাম ফকিরের মেয়ে মুন্নি বেগমের ১২ বছর আগে আনুষ্ঠানি ভাবে বিয়ে হয়। তাদের ৩টি সন্তান রয়েছে। কালাই শিকদার একজন কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন।

গত ২/৩ বছর আগে থেকে মুন্নি বেগমের সাথে তার মামাতো ভাই বরিশাল গৌরনদী উপজেলার কমলাপুরগ্রামের কামাল সরদারের ছেলে বোরহান সরদারের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এ বিষয় নিয়ে প্রায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হত। গত ১ মাস আগে বোরহানের সাথে মুন্নি ঢাকায় পালিয়ে যায়। কাঠমিস্ত্রি কালাই সন্তানদের কথা চিন্তা করে গত ১ সপ্তাহ আগে স্ত্রী মুন্নিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।

সোমবার রাতে মুন্নির বাবার বাড়িতে বসে এই ঘটনাকে নিয়ে সালিশের কথা থাকায় সে ঐ বাড়িতে যায়। পরের দিন মঙ্গলবার সকালে ঘরের মধ্যে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠায়। কালাই শিকদারের বোন আসমা আকতার বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে। তবে স্ত্রী মুন্নির দাবী, কালাই আত্মহত্যা করেছে।

রমজানপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর মৃত কালাই শিকদারের ভাবি কল্পনা বেগম বলেন, কালাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার কথা বলে দোষ এড়িয়ে যেতে চাইছে। ওর স্ত্রী মুন্নির শাস্তি হওয়া উচিত।

কালকিনি থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. নাজমুল হুদা বলেন, মৃতের বোন অভিযোগ দিয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রির্পোট ছাড়া নিয়মিত মামলা নেয়া যাবেনা। ময়না তদন্ত রির্পোট এর উপর ভিত্তি করে মামলা নেয়া হবে । তবে একটি অপমৃত্যুর ডায়েরী করা হয়েছে।

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, ঘটনার পার্শ্ববর্তী স্থানে পুলিশের গাড়ি টহল দিচ্ছিল। ঐ সময় তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এই চক্রের সাথে জড়িত বাকি আরো দুই জনের খোঁজ পাওয়া গেছে। তাদের আটককের প্রক্রিয়া চলছে।

(এএসএ/এটি/মে ১৩, ২০১৪)