গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে সোমবার রাতে আজিজুল হক  বাচ্চু নামে  এক ব্যক্তির মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত কার্যকর হয়েছে । রাত ১১টা ১ মিনিটে ফাসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। গাজীপুরের সিভিল সার্জন আলী হায়দার খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট মোহাম্মদ হোসেন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল ইসলাম দণ্ড কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাচ্চু কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার পিটুয়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। চাদঁনী ও সুমাইয়া নামে দুই বোনকে খুনের দায়ে নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০০৫ সালে বাচ্চুকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছিলেন।

হাই সিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান মামলার নথি উল্লেখ করে জানান, আজিজুল হক বাচ্চু (৩৫) নাটোরের বড়ইগ্রাম উপজেলার জলমন্দ গ্রামের নুরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় বাজারে মুদি দোকান করতেন। এক পর্যায়ে তিনি বাড়ির মালিকের ছোট বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ওই প্রস্তাব নাকচ করে নুরুল ইসলাম বোনকে অন্যত্র বিয়ে দেন। পরে নুরুল ইসলামের বড় মেয়ে পাখি খাতুন ওরফে চাঁদনীকে (১৩) বিয়ের প্রস্তাব দেয় বাচ্চু। এ প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যাত হলে ক্ষুব্ধ বাচ্চু ২০০৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ির মালিক ও তাঁর স্ত্রীর অনুপস্থিতে ঘরে ঢুকে দুই মেয়ে চাঁদনী ও দেড় বছরের সুমাইয়া খাতুনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় মামলা হলে তিনি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করে। শুনানি ও সাক্ষ্য শেষে ওই বছরের ২৮ নভেম্বর নাটোরের দায়রা জজ আদালত বাচ্চুকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে মামলার রায় ঘোষনা করেন । ২০১১ সালের ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট এবং ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগও ওই দণ্ড বহাল রাখে।

এরপর বাচ্চু প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। ৪ এপ্রিল তা খারিজ হয়। প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজের দুই দিনের মাথায় তার দণ্ড কার্যকর হয়।
জেল সুপার আরো জানান, নিয়ম অনুযায়ী ময়না তদন্তের পর বাচ্চুর ভগ্নিপতি আবদুর রহিমের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
(এসএএস/পিবি/ এপ্রিল ০৭,২০১৫)