মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরে রাজৈর উপজেলার রস্ক প্রকল্পের অধীনে ৬২ আনন্দ স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে ১২ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রকল্পের সিএম নজরুল ইসলাম, টি.সি কানিজ ফাতেমা, রাজৈর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাইনুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান ও শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুস সবুর মিয়া যোগসাযসে এসব টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক বরাবর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ও সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, রস্ক প্রকল্প চলতি বছর রাজৈর উপজেলার ৬২ টি আনন্দ স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়।

এ সুযোগে সিএম নজরুল ইসলাম সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছ থেকে জন প্রতি ২০ হাজার টাকা করে ৬২ জনের কাছ থেকে মোট ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

তড়িঘড়ি করে নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য করে গত ২৫ এপ্রিল। এরই মধ্যে রাজৈর উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা যোগদান করেন। বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। প্রার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় তিনি আবেদনের তারিখ বাড়িয়ে দেন এবং ১০ মে লিখিত পরীক্ষার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত দিনে লিখিত এবং ১১ মে মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

পরীক্ষাদের মধ্য থেকে নিয়োগের জন্য ৫৮ জন প্রার্থী বাছাই করা হয়। ইতোপূর্বে উল্লেখিত কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। যারা টাকা প্রদান করে তাদেরকে আনন্দ স্কুল প্রতিষ্ঠা বিষয়ক ফরম ও চুক্তিপত্র সমূহ দিয়ে আসে।
অজ্ঞাত কারনে অনেক প্রার্থীর কাছ থেকে ওইসব ফরম পুনরায় তুলে নেয়। শুধু নিয়োগ বাণিজ্যই নয় ওইসব কর্মকর্তা গত শিক্ষাবর্ষে উপবৃত্তির ১ লাখ টাকা, পার্টনার অরগাইনজেশনের ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, নিম্মমানের পোশাক সরবরাহ করে ২ লাখ টাকাসহ মোট ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

কর্মকর্তাদের জন্য পার্টনার অরগাইনজেশনের ফান্ড থেকে স্কুল প্রতি ১ হাজার ৯’শ টাকা নির্ধারিত থাকলেও নজরুল ইসলাম শিক্ষকদের কাছ থেকে ব্ল্যাঙ্ক চেক নিয়ে সোনালী ব্যাংক রাজৈর শাখা থেকে ৪/৫ গুন অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন। এর প্রতিবাদ করায় অধিকাংশ শিক্ষককে চাকুরীচ্যুতির ভয়ও দেখানো হয় বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে প্রকল্পের সিএম নজরুল ইসলামের যোগাযোগ করলে তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন যারা চাকুরী পায় নাই তারাই এ ধরনের অভিযোগ করতে পারে।

এই প্রকল্পের সহকারী পরিচালক তাসলিমা বেগম জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগ আমরা হাতে পাইনি। সিএম নিয়োগ দেয় সংশ্লিষ্ট এনজিও। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(আয়শা সিদ্দিকা আকাশী)