জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার একটি নিরীহ পরিবারের বাড়িঘরে মালামাল লুটের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ বাবাদ অনুদান পেয়েছে ভুক্তভোগী। ৬ এপ্রিল সোমবার বিকালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ওই পরিবারকে ত্রিশ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করা হয়।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা বকশীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরকাউরিয়া দড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক মন্ডলের বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ টাকা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। সেসময় হানাদার বাহিনীর ভয়ে কিছু বলতে পারেননি আবদুর রাজ্জাক মন্ডল।

দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে হানাদার বাহিনীর সদস্য কর্তৃক মালামাল লুটের ক্ষতিপুরণ চেয়ে আবেদন করেন ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল। সে বছরই প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ভিকটিম পরিবারকে ৫ শত টাকার একটি চেক প্রদান করেন এবং দীর্ঘ ৪৩ বছর পর গত বছরের ২৪ মার্চ লুটপাটের ক্ষতিপূরণ চেয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রীর কাছে ফের আবেদন করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ত্রাণ তহবিল থেকে ত্রিশ হাজার টাকার একটি চেক মঞ্জুর করেন। অবশেষে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই চেকটি আবদুর রাজ্জাক মন্ডলের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উক্ত চেক হস্তান্তর করেন বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নার্গিস পারভীন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার , পিআইও মিজানুর রহমান , উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সায়েম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়, আওয়ামীলীগ নেতা আবু জাফর, সদর ইউপি চেয়ারম্যান ফকরুজ্জামান মতিন উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘদিন পর ক্ষতিপূরণ পেয়ে আবেগ্লাপুত হয়ে ভিকটিম আবদুর রাজ্জাক মন্ডল বলেন, যখন বঙ্গবন্ধুর কাছে ক্ষতিপূরণ চাই তিনি তখন ৫ শ টাকার চেক দিয়েছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা (শেখ হাসিনা) কর্তৃক অনুদান পাওয়ার পর আমার জীবনে সব আশা পূরণ হয়েছে। এব্যাপারে বকশীগঞ্জ ইউএনও নার্গিস পারভীন বলেন, দীর্ঘদিন পর ভিকটিম তার ক্ষতিপূরণ বাবদ অনুদান পাওয়ায় আমরাও খুশি।

(এএলএল/এএস/এপ্রিল ০৭, ২০১৫)