পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সাবেক যুগ্ম সচিব, লেখক বিমল কুন্ডুর ‘সন্ন্যসী’উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৭এপ্রিল) সন্ধ্যায় পাংশা শহরের এয়াকুব আলী চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগারে এ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়।

পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাবের সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শুরুতে লেখক বিমল কুন্ডু তার ‘সন্যাসী’ উপন্যাসের পটভুমি আলোচনা করেন।

প্রধান অতিথি বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. তপন কুমার বাগচী বলেন, পাংশা ও কুমারখালীর মাটি শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির জন্য সমৃদ্ধ। রওশন আলী চৌধুরী, এয়াকুব আলী চৌধুরী, ড. কাজী মোতাহার হোসেন, কাজী আব্দুল ওদুদ, খোন্দকার নজির উদ্দিন আহমেদ, কাঙাল হরিনাথ, মীর মশাররফ হোসেনসহ আরো অনেক খ্যাতনামা লেখক সাহিত্যিক সাংবাদিকের জন্ম এই এলাকাতে। তিনি বলেন এসব খ্যাতনামা লেখক সাহিত্যিক সাংবাদিক যেমন আমাদের তেমনি রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, মাইকেল সকলেই আমাদের।

সন্যাসী উপন্যাসের লেখকের সৃজনশীলতার জন্য অভিন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, কবি ও কথা সাহিত্যিক হিসেবে বিমল কুন্ডু এখন যথেষ্ট খ্যাতিমান। অবসর জীবনে তিনি সাহিত্যের জন্য পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করেছেন। তার সাম্প্রতিক লেখনির ফসল জার্মান সাহিত্যিক হেরমেন হেইসের সিদ্ধার্থ উপন্যাসের নবরূপায়ন করলেন ‘সন্যাসী’ নামে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, দার্শনিক তত্ত্বে সন্যাসী উপন্যাসটি লিখা হয়েছে। গবেষনামূলক এই উপন্যাসটি হিন্দু সমাজের জানা শোনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বইটির ভাষা ও বর্ণনা শৈলী চমৎকার।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পাংশা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা শশাংক শেখর কীর্ত্তনীয়া, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শিবনাথ সরকার, হাঁড়িভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র ভদ্র ও রাজবাড়ী সরকারি কলেজের ছাত্র সুজন কুমার হালদার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, লেখক বিমল কুন্ডুর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে কাব্যগ্রন্থ শূণ্যবিন্দুর সন্ধানে, ঘুরে দাঁড়াও ব্যবীলন ও কাল আবার কি হবে। উপন্যাস স্বাধীনতার প্রেম কাহিনী ও বীরাঙ্গনাঃ অনন্তর সূর্য। গবেষনা গ্রন্থ হিন্দু ধর্মের ইতিহাস ও ছোটদের হিন্দু ধর্মের ইতিহাস।

(এমএমএইচ/এসসি/এপ্রিল০৮,২০১৫)