রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুরের রায়পুর অভিযান চালিয়ে পিকআপ ভ্যান, ট্রোক্সি ও ২টি সিএনজিসহ তিন টন জাটকা ইলিশ আটক করেছে মৎস্য কর্মকর্তা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃস্পতিবার (৯ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন উপজেলার খাসের হাট বাজার এলাকার নওয়াজ মালদের বাড়ী নামকস্থানে ফাড়িঁ পুলিশের সহযোগিতায় জাটকাসহ গাড়িগুলো থানায় নিয়ে আসেন।

এঘটনা সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চালকসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, বেলাল (৩০), মোরশেদ আলম (২৫), ফারভেজ (২৮), জাবেদ হোসেন (২২) ও দেলোয়ার হোসেন (২৭)। তাদের সাবার বাড়ীই সদর উপজেলায়।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নের খাসের হাট বাজার এলাকা মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন স্থানীয় ফাড়ি পুলিশ নিয়ে অভিজান চালায়। এসময় ওই এলাকার নওয়াজ মালদের বাড়ী নামকস্থানে থেকে একটি পিকআপ ভ্যান, একটি ট্রোক্সি ও ২টি সিএনজিসহ ৫ জনকে আটক করে ফাড়ি থানায় নিয়ে আসে। পরে গাড়িগুলো তল্লাশি করে ৩ টন জাটকা উদ্ধার করা হয়। জাটকা ইলিশগুলো স্থানীয় দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়। গাড়ীগুলো হাজিমারা ফাড়ি থানায় জব্দ করে রাখা হয়েছে। আটকৃতদের সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির জরিমানা ও দন্ড দেওয়া হবে বলে জানা যায়।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকার মেঘনা নদীতে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছ না ধরার জন্য ৪ হাজার ১৯৬ জেলে পরিবারকে টানা চার মাস পর্যন্ত জন প্রতি ৪০ কেজি করে চাউল দিয়ে আসছে। তার পরেও জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করে। এজন্য জাটকা নিধন প্রতিরোধে মেঘনা নদীসহ বিভিন্ন সড়কে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত- জাটকা নিধন প্রতিরোধে মেঘনা নদীতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধ। চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদী এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞার আওতায়। এ আদেশ অমান্য করে রায়পুরের মেঘনা উপকূলীয় কিছু সংখ্যক দাদন ব্যবসায়ী ও আড়ৎদারের চাপের মুখে কিছু জেলেরা নদীতে জাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে আসছে।

(এমআরএস/এসসি/এপ্রিল০৯,২০১৫)