বাগেরহাট প্রতিনিধি : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে এযুগের ঘষেটি বেগম হিসেবে অবহিত করে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, তিনি এখন সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নির্দেশে আন্দোলনের নামে প্রট্রোল বোমার রাজনীতির আগুনে পুড়িয়ে অসংখ্য নারী-শিশুসহ পরিবহন শ্রমিকদের হত্যা করেছে। জনসমর্থধনহীন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তিনি পরাজিত সৈনিকের মত মাথা নিচু করে ঘরে ফিরেছেন। এই আপোষহীন নেত্রী এখন,পাপোষ নেত্রী হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাহ আলম সরদারের সভাপতিত্বে রামপাল উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে মংলা- ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ রুটের ২২ কিলোমিটার খনন কাজের অগ্রগতির বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা নৌ পরিবহন মন্ত্রী জানান, দ্রুতগতিতে মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ রুটে হচ্ছে সারা বাংলাদেশের লাইফ লাইন। সেকারনে দ্রুত এ চ্যানেলটি খনন করা হচ্ছে। এই চ্যানেলটি সচল রাখতে একই সাথে ৩১টি নদী-খালের খনন কাজ চলছে। খনন শেষে আগামী জুন মাসের মধ্যেই মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক এই নৌ রুট দিয়ে আবারও জাহাজ চলাচল শুরু হবে। তখন সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে। এই নৌ রুটটি বন্ধ থাকার কারনে বাধ্য হয়ে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে জাহাজ চলাচল করছে। সুন্দরবনের অয়েল ট্যাংকার ডুবির ঘটনায় সারা বিশ্বে তোলপাড় হয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রী আরও জানান, মংলা এখন সচল বন্দর। মংলা বন্দর দিয়ে এখন গাড়িও আমদানী করা হচ্ছে। প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মান শেষে আগামী ২০১৬ সালেে মধ্যে পায়রা সমুদ্র বন্দরে জাহাজ ভিড়তে পারবে।

এই মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএলএম আব্দুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল হক, খুলনা বিবাগীয় কমিশনার মোহম্মদ ফারুক হোসেন, বিআইডব্লিউটিএ’র প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) আব্দুল মতিন, রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আবু সাইদ, মংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মংলা পোর্ট পৌর সভার মেয়র জুলফিকার আলী প্রমুখ্য বক্তৃতা করেন। মতবিনিময় সভা শেষে মন্ত্রী মংলা- ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ রুটের ২২ কিলোমিটার খনন কাজের অগ্রগতি ঘুরে দেখেন।

(একে/পিবি/ এপ্রিল ০৯,২০১৫)