এই বৈশাখে চল

নতুন দিনের আগমনে, নব প্রাণ সঞ্চারে
লাবণ্য ছড়িয়ে যায় বনাঞ্চলে পত্র পল্লবে,
ঝলমলিয়ে ওঠে বিকশিত পুলকদীপ্ত তরুলতা,
লাবণ্যময় দেহে প্রাণসঞ্চারে বৃক্ষের নতুন পাতা;

দিয়ে যায় দোলা প্রাণে প্রাণ পায় নতুন বারতা।
এই বৈশাখে এসেছে নতুন প্রেম, নতু্ন আহ্বানে
নতুন চাকার রথ দুয়ারে দাঁড়ায়ে বলে-
এসো ভালবাসি, চল যাই- ভালবাসার দেশে ভেসে।

এখানে কে তুমি আমি কোনও ভেদাভেদ নাই-
বৈশাখের নতুন কালবৈশাখি ঝড়ের উদ্দাম বেগের মত,
এস দুর্বিনীতভাবে হিংসা আর ক্ষোভ ভাসিয়ে নিয়ে যাই ভালবাসার প্রবল সমুদ্র তুফানে।
এসো দু'হাত বাড়িয়ে দাও নব অনুরাগে,
নব প্রাণসঞ্চারে, নতুন দিনের নতুন আহবানে ।

এই জন্য এই স্বাধীন দেশে

অসংখ্য দেহ-ঝিঁঝিপোকা আমার মৌনতার বিরুদ্ধে
মিছিলে নেমেছে ধমনীর রাজপথ ধরে ধরে।

ক্রমশ আমার নির্বিকার মৌনতায় বিক্ষুব্ধ হয়েছে তারা।
আমার বিরুদ্ধ সমালোচনায় বিষাক্ত দাঁত গজাচ্ছে তাদের।
ঝিঁঝি পোকারা রূপান্তরিত হচ্ছে মৌমাছি,বৃশ্চিক ও ভিমরুলে।
অসংখ্য ভিমরুল বিষ ছড়াচ্ছে শরীরের কোষে কোষে।

আমার ধমনীর পথ রুদ্ধ করে তারা মিছিলে নেমেছে-
শরীরের রাজপথ বন্ধ করে দিয়ে বক্তৃতায় বক্তৃতায়
আমার বিরুদ্ধে তাদের দম্ভোক্তি শুধু
আমার মৌনতায়- আমার ম্রিয়মানতায় -আমার নতজানু
দেহ ভঙ্গিমায় লজ্জিত তারা আজ;
তারা শুধু বলে যায়,
মিছিলের ভাষায় :
এই জন্য তোমার জন্ম হয়েছিল?
পিতার বিপ্লবী রক্ত যে সন্তানের শরীরে বহমান!
এই জন্য বেঁচে আছো স্বাধীন দেশে স্বাধীন পতাকা হাতে?

এই দিনে অসংখ্য দেহ-ঝিঁঝি পোকা আমার শরীরে বহমান রক্তধারায় নাচে।

প্রেমের খরা

আমি তোকে ভরিয়ে দেবো নিবিড় গভীর প্রেমে
আসবি যদি আয়রে তবে বুকের মাঝে নেমে
এতদিনে বুঝলিরে তুই, শূন্য রে তুই ওরে-
আয় নেমে আয় আমার বুকে সকল ছিন্ন করে।

নীল আকাশে অনেক আলো চাঁদের প্রেমে ভরা
তবু কেন তোর বুকে বয় দারুণ প্রেমের খরা
খরার মাঝে শান্তি যে নেই জানলি এতদিনে?
তোমার মত মূঢ় যে নেই একটিও সংসারে!!