নীলফামারী প্রতিনিধি : বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণার ১০ দিনের মাথায় আবারও একটি বাল্যবিয়ে হতে যাচ্ছিল কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান হাবিব এর সক্রিয় অবস্থানের কারণে সে বিয়ে আর হতে পারেনি।

মাত্র ঘন্টাখানেকের ব্যবধানেই অল্পের জন্য বাল্যবিবাহ থেকে মুক্তি পায় ১২ বছর ৭মাস বয়সের ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রী খাতিজা খাতুন।

ঘটনাটি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ভাবনচুর ৭নং ওয়ার্ডে। জানা যায় ওই এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন (৫২) তার নাবালিকা মেয়ে খাতিজা খাতুন কে বিয়ে দিচ্ছে পার্শ্ববর্তী ডিমলা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা কুটিপাড়া নামক স্থানের এক ছেলের সঙ্গে। বিয়ের অনুসাঙ্গিক কার্ডসহ মেহমানদারী শেষ শুধু বরকে নিয়ে এসেই কন্যা দান করবেন মেয়ের পিতা। ঠিক এমন সময় সংবাদকর্মী কর্তৃক ইউএনও মহোদয় জানতে পারেন যে, ওই এলাকায় বাল্য বিবাহ হচ্ছে। পরক্ষণেই সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বার খায়রুল ইসলামসহ স্থানীয় মহৎ ব্যক্তি ও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন ও স্থানীয় এক মহৎ ব্যক্তির মুঠোফোন দ্বারা মেয়ের বাবা আমজাদ হোসেনের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কথোপকথন হয়। এ সময় ইউএনও হাসান হাবিব মেয়ের পিতাকে বিভিন্ন প্রকার আশানুরাগী কথা বললে বিয়ে বন্ধ রাখেন তিনি ও বলেন ইউএনও স্যারের কথা মত আমি আমার মেয়ের বিয়ে স্থগিত করলাম।

উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ বিকালে স্থানীয় স্টেডিয়াম মাঠে এক গণসমাবেশে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত এর উপস্থিতিতে জলঢাকা উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

(এইচকেএম/এএস/এপ্রিল ১০, ২০১৫)