বাগেরহাট প্রতিনিধি : অগ্রণী ব্যাংক বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ শাখার দুই কর্মকর্তা গ্রাহকদের নামে লোন দেখিয়ে ও নবায়ন করে ২৩ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মোরেলগঞ্জ শাখার বর্তমান ম্যানেজার দীপক কুমার কুন্ডু দায়েরকৃত মামলায় প্রাক্তন ম্যানেজার মিসেস শাফিয়া বেগম ও অফিসার ক্যাশ সৈয়দ শিয়ন সাইফকে আসামি করা হয়েছে।

মোরেলগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ব্যাংকের ২৩ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলাটি উপপরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা কর্তৃক তদন্ত কার্য পরিচালিত হবে। বুধবার রাতে মামলাটি দায়ের হয়েছে। মামলার নথিপত্র বিশেষ বাহক ও ডাক মাধ্যমে দুর্ণীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই দুই কর্মকর্তাকে গত ২৯ মার্চ চাকুরী থেকে সাময়িক ভাবে দুই অফিসারকে বরখাস্ত করেছেন ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তবে বরখাস্ত ও মামলা করার আগেই শিয়ন সাইফ পাণিয়ে গেছে।

মামলার আসামি লোহাগড়া থানার নওয়াগ্রাম এলাকার সৈয়দ নাজুল হকের ছেলে সৈয়দ শিয়ন সাইফ(৩০) ও মোরেলগঞ্জের বারইখালী গ্রামের মজিবুর রহমানের স্ত্রী মিসেস শাফিয়া বেগম(৫৯) যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন মামলার বাদি।

স্থানীয় গ্রাহক, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, অগ্রনী ব্যাংক মোরেলগঞ্জ শাখায় চাকুরী করা কালে ম্যানেজার শাফিয়া বেগম ও ক্যাশ অফিসার শিয়ন সাইফ তাদের কর্মকালীন সময়ে ভাউচার ব্যাতিরেকে কম্পিউটার পোষ্টিং ও চেকের মাধ্যমে গ্রাহকদের লাখ -লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

যেসকল এক্যাউন্ট থেকে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, মেসার্স মোহাম্মদীয়া ষ্টোর ৫ লাখ, রুম্মান ষ্টোর ২ লাখ ৬০ হাজার, ইকবাল ষ্টোর ৩ লাখ, রবি ষ্টোর ৫ লাখ, হাসান ষ্টোর ২ লাখ, বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স ২ লাখ, কালাম ষ্টোর ২ লাখ ও সিরাজ মেডিকেল হলের নামে ১ লাখ টাকা। বিভাগীয় তদন্তে ভোগ্যপণ্য ১৬টি ও ইজিপিআরপি লোনের ৫২টি নথি ব্যাংকে পাওয়া যায়নি। আউশ, আমন ও বোরো লোনেরও ১২টি নথিতে বড়ধরণের অনিয়ম মিলেছে। চলমান তদন্তে আত্মসাৎকৃত অর্থের পরিমান বাড়তে পারে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।

(একে/এএস/এপ্রিল ১০, ২০১৫)