স্টাফ রিপোর্টার : জেমকন সাহিত্য পুরস্কার-২০১৫ পেলেন কথাসাহিত্যিক সালমা বাণী। ‘ইমিগ্রেশন’ উপন্যাসের জন্য তিনি এ পুরস্কারে ভূষিত হন।

একই সঙ্গে ‘একজন সাব-এডিটরের কতিপয় ছেঁড়াখোঁড়া দিন’ উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির জন্য রুবাইয়াৎ আহমেদ পেয়েছেন জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার।

শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পুরস্কারের স্বীকৃতিস্বরূপ সালমা বাণীকে নগদ ৫ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র এবং রুবাইয়াৎ আহমেদকে নগদ ১ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।

জেমকন গ্রুপের পরিচালক কাজী আনিস আহমেদ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কারের অর্থমূল্য, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেমকন গ্রুপের পরিচালক কথাসাহিত্যিক ড. কাজী আনিস আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলা সাহিত্যের সৃজনশীল লেখকদের সম্মানিত করার জন্যই মূলত এ পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। এবছর জেমকন সাহিত্য পুরস্কারের যূগপূর্তি। এ পুরস্কার সৃষ্টিশীল লেখকদের অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে আমার বিশ্বাস।

পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কথাসাহিত্যিক সালমা বাণী বলেন, প্রত্যাশাহীন কর্তব্য পালনের জন্য যদি পুরস্কার পাওয়া যায় তাহলে আনন্দের সীমা থাকে না।

জেমকনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তরুণ কথাসাহিত্যিক রুবাইয়াৎ আহমেদ বলেন, আমার জীবনের পরম এক আনন্দের দিন আজ। আমি অভিভূত।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক দেবেশ রায়, কবি আসাদ চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক রবিশংকর বল, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস’র সাবেক উপাচার্য ড. রফিকুল ইসলাম, কবি জহর সেন মজুমদার, অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী, ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, মঈনুল আহসান সাবের, আহমদ মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন তরুণ সঙ্গীত শিল্পী টিনা মুসতারী।

২০০০ সালে কাগজ সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। পরে ২০০৭ সাল থেকে তা জেমকন সাহিত্য পুরস্কার নামে প্রতিবছর প্রদান করা হয়ে থাকে।


(ওএস/এএস/এপ্রিল ১০, ২০১৫)