স্টাফ রিপোর্টার : শুক্রবার রাতেই মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েও শেষ মুহূর্তে হঠাৎ তা পরিবর্তন করেছে সরকার। ফাঁসি কার্যকরের জন্য তার ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন করা হয়। ইমাম ডেকে আনা হয়। ৯ জন অস্ত্রধারী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে ভেতরে নেয়া হয়। বাইরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারও করা হয়। ফাঁসির মঞ্চও প্রস্তুত করা হয়েছিলো। দু’টি এ্যাম্বুলেন্সও ভেতরে আনা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হলো।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দুটি কারণে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। প্রথমত ফাঁসি কার্যকরের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে ফাইলটি কারাগারে যাওয়ার কথা তা প্রস্তুত ছিলো না। শুক্রবার হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছুটিতে ছিলেন। তাদের ডেকে এনে ফাইল প্রস্তুত করে কারাগারে পাঠানোর জন্য বেশ কিছু সময়ের প্রয়োজন আছে। হয়তো আজই এটিও সম্ভব ছিলো। কিন্তু আরও একটি কারণে ফাঁসির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, কামারুজ্জামানকে যখন ফাঁসির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল এ সময় তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। এ দু’টি বিষয় সম্পন্ন করতে হয়তো অনেক রাত লেগে যেতো। তাই সরকার ফাঁসির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে।এমনটিই ধারণা করা হচ্ছে।

(ওএস/পি/এপ্রিল ১১, ২০১৫)