নিউজ ডেস্ক, ঢাকা : সাপে ব্যাঙ খায়। কিন্তু ব্যাঙের বিষে মরে সাপ- এ কথা কেউ কি শুনেছেন? তবে বিজ্ঞানীরা এক ধরনের ব্যাঙ নিয়ে খুব দুর্ভাবনায় পড়ে গেছেন। ব্যাঙগুলো কোনো কোনো সাপের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কুমিরও মরছে এদের কবলে পড়ে!

বিস্ময়ময়কর ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাঙগুলো বিস্ময় জাগানোরই ছোট্ট এক নমুনা। দেহজুড়ে শক্ত চামড়া, তার ওপর আরো শক্ত শক্ত জরুল৷ মাথায় থাকে বিষের থলি। ক্ষুধা নিবারণ করতে সাপ যেই এদের খায়, অমনি বিষ ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত দেহে। ব্যাঙ তো মরেই, সাপের পক্ষেও আর বেঁচে থাকা সম্ভব হয় না।

চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাপত্র বলছে, বিষাক্ত এই ব্যাঙগুলোর কারণে নাকি এক ধরনের কুমির বিলুপ্ত হবার পথে৷ কুমিরগুলো সাধারণ কুমিরের তুলনায় বেশ ছোট৷

পুরুষ কুমির ১ দশমিক ৭ মিটার বা সাড়ে ৫ ফুট বড় হয়৷ মেয়ে কুমির আরো ছোট, মাত্র দশমিক সাত মিটার বা দু’ফুট তিন ইঞ্চি। আকারে ছোট বলে এ ধরনের কুমিরকে পিগমি বা স্টান্টেড ক্রোকোডাইল নামে ডাকেন বিজ্ঞানীরা। দুর্লভ প্রজাতির এই কুমিরের সংখ্যা অস্ট্রেলিয়ার কিছু কিছু জায়গায় খুব দ্রুত কমছে।

চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নর্দার্ন টেরিটরির ভিক্টোরিয়া এবং বুলো নদীর কুমির নিয়ে কাজ করে রীতিমতো শঙ্কিত।

একটি এলাকায় ২০০৭ সালের শুরুর দিকে ছিল ২৮টি পিগমি কুমির৷ এক বছরের মধ্যেই কমে হয়ে যায় ১০টি৷ এর বিশেষ কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা৷ তবে লক্ষ্য করেছেন, ওই বিষাক্ত ব্যাঙের ঝাঁক আসার পর থেকেই কুমির কমছে।

ধারণা করা হচ্ছে, বিকল্প খাদ্যের অভাবে কুমিরগুলো ব্যাঙ ধরে ধরে খায়, ব্যাঙের মাথার বিষে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের মৃত্যু ডেকে আনে৷

ব্যাঙগুলো নাকি পূর্ব-দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার দিকে এগোচ্ছে। তবে গতি বেশি নয়, বছরে মাত্র ৫০ কিলোমিটার। ব্যাঙাতঙ্ক অবশ্য বিদ্যুৎ বেগে অনেক আগেই পৌঁছে গেছে গন্তব্যে! এ খবর দিয়েছে ডয়চে ভেলে।

(ওএস/পি/মে ১৩,২০১৪)