স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরের আলবদর কমান্ডার কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১০টা ১ মিনিটে এ ফাঁসি কার্যকর করার মধ্য দিয়ে দেশের জন্য আরও একটি নতুন ইতিহাস রচিত হলো।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে কাদের মোল্লার পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে তার ফাঁসি কার্যকর করা হলো।

ফাঁসি কার্যকর করতে সন্ধ্যা থেকেই কারাগারে উপস্থিত হতে শুরু করেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় ডিআইজি (প্রিজন) গোলাম হায়দার কারাগারে প্রবেশ করেন। এর আগে আইজি (প্রিজন) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন এবং অতিরিক্ত আইজি কর্নেল কবির কারাগারে প্রবেশ করেন। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন কারা্ চিকিৎসক আহসান হাবিব। তবে আগে থেকেই কারাগারে ছিলেন সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী ও জেলার নেচার উদ্দীন।

কারাগারের সামনে পুলিশ-র‌্যাবের উপস্থিতি বাড়ানো হয়। এ ছাড়াও আশপাশের ভবনগুলোর উপর থেকেও নজরদারী করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে শেষ ইচ্ছে অনুয়ায়ী গ্রামের বাড়ি বাজিতখিলা-গাজীর খামার পাকা সড়কের পাশে তার স্থাপিত বাজিতখিলা-কুমরি এতিমখানার সন্মুখে কামারুজ্জামানকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার ভাই মো. কফিল উদ্দিন। লাশ দাফনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।

(ওএস/অ/এপ্রিল ১১, ২০১৫)