নাটোর প্রতিনিধি :নাটোরের সিংড়ায় জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগে শাহজাহান মোল্লা নামে এক কৃষকের ১১বিঘা জমির ধান প্রতিপক্ষরা বিনষ্ট করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বড় চৌগ্রাম ফটিকাহার পাড়ার ফসলী মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শাহজাহান মোল্লা বাদি হয়ে গত শুক্রবার  প্রতিবেশী হোসেন মোল্লা সহ ৬জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ ও থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, সিংড়া উপজেলার বড়চৌগ্রাম ফটিকাহার পাড়ার কৃষক শাহজাহান মোল্লার সাথে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাই হুমায়ন, ফেরদৌস ও ফারুকের সাথে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শাহজাহান মোল্লার পিতা আরশেদ আলী মোল্লা ও তার ছেলে আরিফ হোসেন জমিতে পানি সেচ দেয়ার জন্য শ্যালো মেশিন ঘরে অবস্থান করছিল।

গভীর রাতে প্রতিপক্ষরা তার বাবা ও ছেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে রেখে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে তারা বোরো জমিতে ক্ষতিকারক কীটনাশক প্রয়োগ করে চলে যায়। শুক্রবার দুপুরে থেকে জমির ধান লালচে ও হলুদ রংয়ের দেখতে পেয়ে কৃষি কর্মকর্তাকে খবর দেয় এবং সিংড়া থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শাহজাহান মোল্লা জানায়, ধার দেনা করে জমিতে বোরো চাষ করেছেন। এই ফসল ঘরে তুলতে না পারলেই ধার দেনা পরিশোধসহ ৮ সদস্যের সংসার চালানো এবং ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালানো সহজ হবে। কিন্তু প্রতিপক্ষরা তার ১১ বিঘা জমিতে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করায় তার প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, ভবর পেয়ে স্থানীয় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল হাইকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। খোঁজ নিয়ে জানাযায় জমিতে আর্বজনা নাশক এক ধরনের বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ধানের এরুপ ক্ষতি সাধন হয়েছে। তবে এ ধরনের ঘটনায় তাৎক্ষনিক অতিরিক্ত মাত্রায় পানি স্প্রে করলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কম হতো।

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এমআর/এসসি/এপ্রিল১১,২০১৫)