নিউজ ডেস্ক, ঢাকা : লোমহর্ষক ভীতিকর এক ভূতুরে প্রাসাদ।পিশাচ ড্রাকুলার ব্রান দুর্গ। মৃত কাউন্ট ড্রাকুলা দিনের আলোতে কফিনের ভেতর নিথর হয়ে থাকে। আর আঁধার নামলেই ভয়ঙ্কর রূপে জেগে ওঠে সে। তারপর চলে দুর্ধর্ষ শিকার। মানুষের গলায় তীক্ষè দুটি দাঁত বসিয়ে চুষে পান করে উষ্ণ রক্ত।

আসলে সত্যি কাহিনীটি অদ্ভূত মনে হলেও। রোমানিয়ার ট্রান্সসিলভেনিয়ার ব্রান দুর্গে ছিল এমন একজন মানুষ। যার নাম ছিল ক্লদ। প্রচ- অত্যাচারী এই রাজকুমার নাকি সত্যি সত্যিই শত্রুদের রক্ত পান করতেন।

ট্রান্সসিলভেনিয়ায় মানুষের রক্তপ্রবাহ বন্ধ করে দেয়ার জন্য তখন নাকি এই প্রাসাদের নামটুকুই যথেষ্ট ছিল। এর নাম শুনলে অগোচরেই নাকি মানুষ ভয়ে বুকে ক্রুশ চিহ্ন আঁকত। পিশাচ ড্রাকুলার প্রাক্তন বাসগৃহ ব্রান দুর্গ এবার বিক্রি হতে চলেছে।

সূত্র জানায়, ব্রান দুর্গ উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া তিন মালিকের বয়স বর্তমানে ৭০ ছাড়িয়েছে। রোমানিয়া সরকারের কাছে তারা এই প্রাসাদ ৮ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সুবিধা করতে না পেরে অবশেষে দায়িত্ব দিয়েছেন এক মার্কিন সংস্থাকে।

ব্রাম স্টকারের কলমের জোরে অমরত্ব পাওয়া এই কাল্পনিক রক্তচোষা পিশাচের পূর্বপুরুষরা এই প্রাসাদে ১২২১ সাল থেকে থাকতে শুরু করেন। ক্রুসেড (মুসলিমদের সাথে খ্রিস্টানদের জেহাদ) চলার সময় এই প্রাসাদের বাসিন্দারা বছরের পর বছর এই এলাকায় তুর্কি সেনাদের ঢুকতে বাধা দিয়েছিল। সেই সময়ের পটভূমিকাতেই মূলত ড্রাকুলা চরিত্রের সৃষ্টি।

বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৫ লাখ পর্যটক আসেন এই দুর্গের আধো অন্ধকার অলিগলিতে ঘুরে বেড়ানোর গা শিউরে ওঠা অভিজ্ঞতা নিতে। ওপর থেকে দেখেন দুর্গের সেই উঠান যেখানে নাকি ঘুরে বেড়াত কাউন্টের অনুগত নেকড়ের পাল। দাবি করা হয়, এই দুর্গের কয়েক ডজন শয়নকক্ষের মধ্যে কয়েকটিতে নাকি এমন অনেকের আনাগোনা আছে যাদের ঠিক মানুষ বলা যায় না।

(ওএস/পি/মে ১৩,২০১৪)