গাইবান্ধা  প্রতিনিধি: সীমাহীন যানজটে গাইবান্ধা জেলা শহরের মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে। প্রতিদিনই বাস-ট্রাকের সাথে দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। অথচ যানজট নিরসনে বাইপাস সড়ক নির্মাণের প্রকল্পটির কাজ ২৫ বছরেও সম্পন্ন হয়নি।

ফলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সর্বস্তরের মানুষ।
বর্তমানে জেলা শহরের স্বল্প পরিসরের সড়কগুলো দিয়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। এর মধ্যে বেআইনীভাবে সড়ক সংলগ্ন ফুটপাত দখল এবং সড়কের সাথে ব্যাপক হারে অবৈধভাবে দোকানপাট গড়ে তোলা হয়েছে। এই অবস্থাতেও নিয়ন্ত্রণহীন রিক্সা এবং বাস-ট্রাক, অটোবাইক, ভটভটি ও গ্রামবাংলা মোটরযানের অবাধে চলাচল করছে শহরের অপরিসর সড়ক দিয়ে। ফলে দুর্ঘটনার আশংকা নিয়ে শহরবাসীকে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
উলে¬খ্য, ১৯৮৮ সালে গাইবান্ধাবাসীর দাবীর মুখে প্রথম বাইপাস সড়ক নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ চিন্তা ভাবনা শুরু করে। সে সময় একটা প্রস্তাবনাও পাঠানো হয় প্রধান কার্যালয়ে। সে অনুযায়ী জরিপ এবং আনুসাঙ্গিক কাজ পরিচালনার জন্য ১৫ লাখ টাকার একটি থোক বরাদ্দ দেয়া হয়। সে সময় প্রস্তাবিত বাইপাস সড়কটি বর্তমান এলজিইডি ভবনের পাশ দিয়ে বের হয়ে পুলিশ লাইনের মধ্য দিয়ে ফুলছড়ি উপজেলার মদনের পাড়ায় গিয়ে গাইবান্ধা-বালাসীঘাট সড়কে সংযুক্ত হওয়ার কথা ছিল। বেশকিছু জমি অধিগ্রহণ ও কয়েকটি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণসহ প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সড়কটি নির্মাণে প্রায় ২০ কোটি টাকার একটি স্কীম তৈরি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ওই স্কীমটি প্রকল্প আকারে আলোর মুখ দেখেনি।
সম্প্রতি গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগ জরীপ কাজ সম্পন্ন করে ৫৬ কোটি ২৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দের একটি প্রস্তাবনা দেয়। ওই প্রস্তাবনায় উলে¬খ করা হয়, ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৬০ একর জমি অধিগ্রহণসহ আলাই নদীর উপর ৭৫ মিটার দীর্ঘ একটি আর সিসি সেতু ও বিভিন্ন পয়েন্টে ১৫টি কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু কবে নাগাদ এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে তা আজও অনিশ্চিত।



(আরআই/এসসি/এপ্রিল১১,২০১৫)