বাগেরহাট প্রতিনিধি :বাগেরহাটের শরণখোলায় সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে উপজেলার মাঠগুলো যেন এক প্রকার  হাসছে। গত বছরের তুলনায় এবছর দ্বিগুন দাম ও  ফলনের আসায় বুক ভরে স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা । তবে সাধারন চাষীদের  চাষের জমি সংকট ও সার্বিক সহয়াতার অভাবে ইচ্ছ্ াথাকা সত্বেও অনেকেই সূর্যমুখীর চাষ করতে পারেনি। জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলার ধানসাগর, খোন্তাকাটা, রায়েন্দা ও সাউথখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সহ¯্রাধিক কৃষক ১৬৮৫ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস ও এনজিও ব্র্যাক সূত্রে জানাগেছে।

এনজিও ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর শরণখোলা উপজেলা শাখার ম্যানেজার জীবন কুমার প্রামানিক বলেন, কৃষি বিভাগ ও ব্র্যাক যৌথ উদ্যোগে সূর্যমুখী চাষীদের প্রশিক্ষন শেষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৬৩ ব্লকের মাধ্যমে ৮১৬জন কৃষককে জন প্রতি এক একরে পাচঁ হাজার পাচঁশত টাকা আর্থিক সহয়াতার পাশাপাশি হাইব্রিড সানফ্লয়ার ৩৩ জাতের সূর্যমুখী বীজ উপজেলার ৪ ইউনিয়নে বিনামূল্যে বিতরন করেছে ব্র্যাক। চলতি বছরের সূর্যমুখীর চাষকৃত মোট ১৬৮৫ বিঘা জমিতে ব্র্যাকের হাইব্রিড জাতের বীজের মাধ্যমে সূর্যমুখীর চাষ করে বাম্পার ফলন পেতে যাচ্ছে কৃষকরা। এবছর সূর্যমূখী সবচেয়ে বেশী চাষ করা হয়েছে ধানসাগর ইউনিয়নে যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন। এছাড়া গতবছর ১৫/২০ মন ফলন হলেও চলতি বছরে প্রতি একরে ফলন ৩০/৩৫মন আশা করা হচ্ছে। উপজেলার রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা ও চাষী ইয়াকুব হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মমতাজ বেগম,শাহনাজ বেগম ও ইলিয়াস সহ অনেকেই বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর ফলন খুবই ভাল। পর্যাপ্ত পরিমান জমিনা থাকায় সূর্যমুখী চাষে অনেকটা বাধাঁ হয়েছে। সূর্যমুখীর উৎপাদিত তেল এলাকায় খুব বেশী চাহিদা না থাকায় প্রতিমন ফসল এবছর ১২শ থেকে ১৫শ টাকা ধরে খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, ঠাকুঁরগাও, পাবনাসহ, দেশের উত্তর অঞ্চলে বিক্রি করবেন চাষীরা। এছাড়া সূর্যমুখীর মাধ্যমে উৎপাদিত তেল পামওয়েল,সোয়াবিনের চেয়ে সুস্বাদু, এ তেল রান্নাবান্ন কাজে ব্যবহার করলে রোগ ব্যাধি কম হয় বলে ও চাষীদের অনেকে ধারনা। চাষীদের চাষাবাদ খরচ বাদে প্রতি একরে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকবে বলে ও জানান তারা।
এ বিষয় উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা সৌমিত্র সরকার বলেন, সরকারী পৃষ্টপোষকতা ও সার্বিক সহযোগিতা পেলে এ অঞ্চলের চাষীরা কৃষির দিকে ব্যাপকভাবে ঝুকে পড়বেন। ##


(একে/এসসি/এপ্রিল১১,২০১৫)