পটুয়াখালী প্রতিনিধি :যুবলীগ নেতা খালিদুল ইসলাম স্বপনের নেতৃত্বে সরকারী দলের ক্যাডাররা পটুয়াখালীর গলাচিপা-হরিদেবপুর খেয়াঘাটের দখল নিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দখল নিয়ে দু’ পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

এতে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে। খালিদুল ইসলাম স্বপন স্থানীয় সাংসদ খম জাহাঙ্গীরের আপন ছোট ভাই এবং যুবলীগ গলাচিপা উপজেলা কমিটির সভাপতি। এ ঘটনার মাত্র দিন কয়েক আগে ওই ঘাটের ইজারাদার শিবুলাল দাসের টোলঘরে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটেছে। শিবুলাল দাসের আড়ত থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে ৮৫ বস্তা চাল লুটের ঘটনাও ঘটেছে। সরকারী দলের ক্যাডারদের একের পর এক তান্ডবের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বরাবরের মতো শিবুলাল দাস তার লোকজন নিয়ে সকাল থেকে খেয়াঘাটের ইজারার টাকা আদায় করছিলেন। দুপুরের দিকে স্বপনের নেতৃত্বে শ’ খানেক ক্যাডার আকস্মিক হামলা চালিয়ে ঘাটের দখল নেয়। বাধা দিতে গেলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে শিবু লাল দাস, তাঁর ছেলে কার্তিক দাস, ভাতিজা বাবু লাল দাস, ভাগ্নে স্বপন দাসসহ ১৮ জন আহত হয়।

শিবু লাল দাস জানান, গলাচিপা-হরিদেবপুর খেয়াঘাটের ১৪২২ বাংলা সালের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ইজারা আদায়ের জন্য পটুয়াখালী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন গত ৯ এপ্রিল স্বাক্ষরিত চিঠিতে (স্মারক নম্বর ৪৬.১০.৭৮০০.০০০.০৫.০০১.২০১৫-১৭৫, তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৫) কমল চন্দ্র পাটনীকে কার্যাদেশ দেন। ওই কার্যাদেশের বলে কমল চন্দ্র পাটনীর পক্ষে তাঁর লোকজন খেয়াঘাটের টোল আদায় করছিল। অথচ কোন কারণ ছাড়াই ঘাট দখল করে নেয়া হয়েছে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, গলাচিপায় চোরাচালানীর মাধ্যমে ধনী হওয়া এক ব্যক্তিকে যুবলীগ নেতা স্বপন ঘাটের দখল বুঝিয়ে দিয়েছে। এজন্য মোটা অঙ্কের লেনদেন হয়েছে। দখলের সময় গোটা খেয়াঘাট রণভূমিতে পরিণত হয়। কয়েকটি দোকানও ক্যাডাররা ভাংচুর করেছে।
আহতদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো

হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম জানান, কমল চন্দ্র পাটনীকে গলাচিপা-হরিদেবপুর খেয়াঘাটের ইজারাদার নিযুক্ত করে পটুয়াখালী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত কার্যাদেশ সংক্রান্ত চিঠির একটি কপি পেয়েছি। তারপরেও এক ব্যক্তিকে জেলা পরিষদের প্রশাসক খান মোশারেফ হোসেন খাস আদায়কারী নিয়োগ দিয়েছেন। যার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিশির কুমার পাল বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় কোন পক্ষই মামলা করেনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে #

(এসএলডি/এসসি/এপ্রিল ১৫,২০১৫)