স্টাফ রিপোর্টার : প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ঢালাও অভিযোগ না করে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ আনলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যবস্থা নেবে।

প্রার্থীদের একের বিরুদ্ধে অন্যের আনা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ঢালাওভাবে বা মৌখিকভাবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে নির্বাচন কমিশন তা আমলে নেবে না। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত অভিযোগ করতে হবে, তাহলেই রিটার্নিং কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ব্যবস্থা না নিলে ভুক্তভোগী কমিশনে অভিযোগ দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনই ব্যবস্থা নেবে।

আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে শাহনেওয়াজ বলেন, নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে নির্বাহী হাকিমের সংখ্যা তত বাড়তে থাকবে। নির্বাহী হাকিমরা বিভিন্ন প্রার্থীকে সতর্ক করছেন, পাশাপাশি অনেককে জরিমানাও করছেন। আইন লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

প্রতীক নিয়ে প্রার্থিদের আপত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়ে গেছে। এখন আর প্রতীক পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তবে কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তা কমিশনে জানানো যাবে। সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতীক পরিবর্তনের আবেদন করলে ভবিষতে তা আমলে নেবে কমিশন।

সিটি নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থিদের জন্য মূলা, কেটলি, গ্লাস ইত্যাদি প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে ইসি। এসব প্রতীকে জেন্ডার বৈষম্য হয়েছে বলে বিভন্ন ফোরামে অনেকেই মৌখিকভাবে আপত্তি জানাচ্ছেন।

আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ১৬, ২০১৫)