মেহেরপুর প্রতিনিধি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কোনো গুলি ছাড়াই, কোনো ক্রসফায়ার ছাড়াই এই দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ১৭ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পন করিয়েছিলাম।

আজ ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা নির্বাচন চান, নির্বাচন অবশ্যই হবে। তবে ২০১৯ সালের আগে নই। আপনারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় যেতে চান। আর আমরা বাকি ৪ বছর মানুষকে ভালোবেসে মানুষের মন জয় করে আবারও ক্ষমতায় যাব, আবার সরকার গঠন করবো ।

প্রধান অতিথির বক্তব্য আমির হোসেন বলেন, পলাশির আম্রকাননে মীর জাফর, রায় দুর্লভদের ষড়যন্ত্রে হারিয়ে যাওয়া বাংলার স্বাধনিতা তার ৫৭ কিলোমিটার দুরে মেহেরপুরের মুজিবনগর সরকারের শপথের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার হয়। তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়ার ষড়যন্ত্র এ নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, ২০০৪ সালে শেক হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে যেভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয় একই ভাবে বর্তমানে ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে।

মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, হুইপ সোলাইমান হক জোয়ার্দার, মেহেরপুর-১ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস।

এর আগে জাতীয় চার নেতাসহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সম্মান জানিয়ে মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে পুস্পমাল্য অপর্ন করেন আওয়ামী লীগের নেতবন্দরা। পুষ্পমাল্য অর্পন শেষে জাতীয় সঙ্গীতের সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিজিবি পুলিশ, আনসার সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, স্কাউটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলে মেয়েরা প্যারেড প্রদর্শন করে। এ সময় অতিথিরা তাদের সালাম গ্রহণ করেন। সালাম গ্রহন শেষে হে তারুণ্য তুমি দাঁড়াও শিরোনামে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

(ইএম/এএস/এপ্রিল ১৭, ২০১৫)